Pages

Showing posts with label দেশ বিদেশের খবর. Show all posts
Showing posts with label দেশ বিদেশের খবর. Show all posts

Friday, 4 October 2019

অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৯

অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৯
১.জনসংখ্যা (২০১৮, প্রাক্কলিত)-১৬৩.৭ মিলিয়ন
২. জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার,২০১৭- ১.৩৭%
৩. পুরুষ-মহিলা অনুপাত,২০১৭- ১০০.২
৪.জনসংখ্যার ঘনত্ব/বর্গ কিমি - ১১০৩ জন
৫. স্থূল জন্মহার (১০০০ জনে) - ১৮.৫
৬.স্থূল মৃত্যুহার (১০০০ জনে) - ৫.১
৭. এক বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার (১০০০ জনে)- ২৪
৮. প্রত্যাষিত গড় আয়ুষ্কাল, ২০১৭ - ৭২ বছর
(পুরুষ - ৭০.৬, মহিলা - ৭৩.৫)
৯. ডাক্তার ও জনসংখ্যার অনুপাত - ১ঃ ১৭২৪
১০. স্বাক্ষরতার হার - ৭২.৩%
(পুরুষ- ৭৪.৩, মহিলা- ৭০.২)
১১. দারিদ্র্যের হার - ২১.৮% ১২. চরম দারিদ্র্যের হার- ১১.৩%
১৩. চলতি মূল্যে মাথাপিছু জাতীয় আয়(মা: ডলারে)- ১৯০৯
১৪. চলতি মূল্যে মাথাপিছু জিডিপি(মা: ডলারে)- ১৮২৭
১৫. স্থির মূল্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার -৮.১৩
১৬. মোট শ্রমশক্তির শতকরা হারঃ
(ক) কৃষি-৪০.৬
(খ) শিল্প - ২০.৪
(গ) সেবা- ৩৯
১৭. মূল্যস্ফীতি গড়(জুলাই-মার্চ,২০১৯)­- ৫.৪৪
১৮. মোট ব্যাংকের সংখ্যা- ৫৯ ক. রাষ্ট্র মালিকানাধীন - ৬ খ. বিশেষায়িত- ৩
গ. বেসরকারি- ৪১
ঘ. বৈদেশিক-৯
ঙ. আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ব্যাংক বহির্ভূত) -৩৪
১৯.খাত সমূহের অবদানঃ
ক. কৃষি- ১৩.৬০*
খ. শিল্প- ৩৫.১৪
গ. সেবা- ৫১.২৬

জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা আসলে কী? কোথা থেকে এলো এই আইন?

জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা আসলে কী? কোথা থেকে এলো এই আইন?
What is Article 370 and 35A?
৩৭০ ধারা বিলোপ করা হোক, এমন দাবি মাঝে মাঝেই শুনতে পাওয়া যায়। ৩৭০ ধারা কী, তার তাৎপর্যই বা কী, কাশ্মীরে গণভোটের কথা কেন উঠে আসে বারবার?
৩৭০ ধারা কী
৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারাবলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ভারতভুক্তি সহ কোনও কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ রাখার জন্য রাজ্যের মত নিলেই চলে। কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে রাজ্য সরকারের একমত হওয়া আবশ্যক। ১৯৪৭ সালে, ব্রিটিশ ভারতকে ভারত ও পাকিস্তানে বিভাজন করে ভারতীয় সাংবিধানিক আইন কার্যকর হওয়ার সময়কাল থেকেই ভারতভুক্তির বিষয়টি কার্যকরী হয়।
অনুচ্ছেদ ৩৭০ কী কী মর্যাদা দিয়েছিল কাশ্মীরকে?
অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে যে সকল সুবিধা দিয়েছিল তা হলোঃ
- নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেয়;
- পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়।
এখন কী ঘটতে পারে?
সরকার কাশ্মীরে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ধোঁয়াশা রাখলেও সোশ্যাল মিডিয়াতে দুটো সম্ভাবনা নিয়ে জোরালো আলোচনা চলছে।
এক, বিজেপির বহু পুরনো নীতি অনুসারে সংবিধানের যে ৩৭০ ধারা কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয় তা অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাতারাতি বিলোপ করা।
আর দুই, রাজ্যটিকে জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখ - এই তিনভাগে ভাগ করে ফেলা, যাতে কাশ্মীরের স্বতন্ত্র স্বীকৃতি আপনা থেকেই বাতিল হয়ে যায়।
পেছনের কথাঃ
স্বাধীনতার পর প্রায় ৬০০টি রাজন্য পরিচালিত রাজ্যের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করা হয়। ওই আইনে তিনটি সম্ভাবনার কথা রয়েছে।
প্রথমত স্বাধীন দেশ হিসেবে থেকে যাওয়া,
দ্বিতীয়ত, ভারতের যোগদান অথবা, পাকিস্তানে যোগদান। এ ব্যাপারে কোনও লিখিত ফর্ম না থাকলেও, কী কী শর্তে এক রাষ্ট্রে যোগদান করা হবে, তা রাজ্যগুলি স্থির করতে পারত।
তৃতীয়ত, অলিখিত চুক্তি ছিল, যোগদানের সময়কালীন প্রতিশ্রুতি রক্ষিত না হলে, দু পক্ষই নিজেদের পূর্বতন অবস্থানে ফিরে যেতে পারবে।
ভারতভুক্তির শর্ত হিসেবে জম্মু কাশ্মীরে সংসদ প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও যোগাযোগ- এই তিনটি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাধর। কাশ্মীরের ভারতভুক্তির ৫ নং উপধারায় জম্মু-কাশ্মীরের রাজা হরি সিং স্পষ্টত উল্লেখ করে দিয়েছিলেন যে তাঁর সম্মতি ছাড়া ভারতের স্বাধীনতা আইনে এ রাজ্যের ভারতভুক্তি কোনও সংশোধনী আইনের মাধ্যমে বদলানো যাবে না। ৭ নং উপধারায় বলা ছিল যে এই ভারতভুক্তির শর্তাবলী ভবিষ্যৎ কোনও সংবিধানের মাধ্যমে বদলাতে বাধ্য করা যাবে না।
ভারতভুক্তি কীভাবে হল?
রাজা হরি সিং প্রাথমিক ভাবে স্থির করেছিলেন তিনি স্বাধীন থাকবেন, এবং সেই মোতাবেক ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে স্থিতাবস্থার চুক্তি স্বাক্ষর করবেন। পাকিস্তান সে চুক্তিতে স্বাক্ষরও করেছিল। কিন্তু জনজাতি এবং সাদা পোশাকের পাক সেনা যখন সে দেশে অনুপ্রবেশ করে, তখন তিনি ভারতের সাহায্য চান, যা শেষপর্যন্ত কাশ্মীরের ভারতভুক্তি ঘটায়। ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর হরি সিং ভারতভুক্তির চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরদিন, ২৭ অক্টোবর ১৯৪৭, গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন সে চুক্তি অনুমোদন করেন।
এ ব্যাপারে ভারতের অবস্থান ছিল খোলামেলা। ভারতের বক্তব্য ছিল এই ভারতভুক্তির বিষয়টি কোনও একজন শাসকের মতামতের ভিত্তিতে স্থির হতে পারে না, এর জন্য সে জায়গার অধিবাসীদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন। লর্ড মাউন্টব্যাটেন বলেছিলেন, “আমার সরকার মনে করে, কাশ্মীর আক্রমণকারীদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার অব্যবহিত পরেই সে রাজ্যের ভারতভুক্তির বিষয়টি রাজ্যের অধিবাসীদের দ্বারা স্থিরীকৃত হওয়া উচিত।” কাশ্মীরের ভারতভুক্তি যে সাময়িক সিদ্ধান্ত, তা ১৯৪৮ সালে জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কিত শ্বেত পত্রে ঘোষণা করে ভারত সরকার। ১৭ মে ১৯৪৯ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং এন গোপালস্বামী আয়েঙ্গারের সম্মতিক্রমে জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাকে একটি চিঠি লেখেন। সে চিঠিতে তিনি বলেন, ভারত সরকারের স্থির সিদ্ধান্ত হল জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধান সে রাজ্যের অধিবাসীদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়। সেই মতামতের প্রতিনিধিত্ব বহন করার উদ্দেশ্যেই গণপরিষদ গঠিত হয়েছে।
৩৭০ ধারা কীভাবে কার্যকর হয়েছিল?
মূল খশড়া দেওয়া হয়েছিল জম্মু কাশ্মীর সরকারকে। কিছু অদলবদলের পর ৩০৬ এ ধারা (বর্তমান ৩৭০) ২৭ মে, ১৯৪৯ সালে গণপরিষদে পাশ হয়। প্রস্তাব পেশ করে আয়েঙ্গার বলেন, যদিও ভারতভুক্তি সম্পন্ন হয়ে গেছে, তা সত্ত্বেও ভারতের তরফ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে যে পরিস্থিতি তৈরি হলে গণভোট নেওয়া হোক, এবং গণভোটে ভারতভুক্তি যদি গৃহীত না হয়, তাহলে “আমরা কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করব না।“
৩৭০ ধারা কি সাময়িক অবস্থান?
সংবিধানের একবিংশ অংশের প্রথম অনুচ্ছেদ এটিই। এ অংশের শিরোনাম হল- সাময়িক, পরিবর্তনসাপেক্ষ, এবং বিশেষ বিধান। ৩৭০ ধারাকে সাময়িক বলে বিবেচনা করা যেতেই পারে। জম্মু কাশ্মীর বিধানসভা এ ধারা পরিবর্তন করতে পারত, একে বিলোপ করতে পারত বা একে ধারণ করতে পারত। বিধানসভা একে ধারণ করার পক্ষে মত দেয়। আরেকটি ব্যাখ্যা হল- গণভোট না হওয়া পর্যন্ত ভারতভুক্তির সিদ্ধান্ত সাময়িক বলে গণ্য। গত বছর সংসদে এক লিখিত জবাবে ভারত সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির কোনও প্রস্তাব নেই। ৩৭০ ধারা সাময়িক এবং একে বহাল রাখা সংবিধানের সঙ্গে জালিয়াতি- এ কথা বলে মামলা করেছিলেন কুমারী বিজয়লক্ষ্মী। ২০১৭ সালে এ মামলা নাকচ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, শিরোনামে সাময়িক লেখা থাকলেও ৩৭০ ধারা সাময়িক নয়। ১৯৬৯ সালে সম্পৎ প্রকাশ মামলায় ৩৭০ ধারাকে সাময়িক বলে মানতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট।
৩৭০ ধারা কি বিলোপ করা যেতে পারে?
রাষ্ট্রপতির আদেশের ভিত্তিতে অনুচ্ছেদ ৩৭০ (৩) বিলোপ করা যেতেই পারে। তবে তেমন নির্দেশের জন্য জম্মু কাশ্মীরের গণপরিষদের সম্মতি প্রয়োজন। কিন্তু গণপরিষদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫৭-তে। ফলে একটা মত হল, ৩৭০ ধারা আর বিলোপ করা যেতে পারে না। তবে এ ব্যাপারে আরেকটি মতও রয়েছে, সেটা হল রাজ্য বিধানসভার সম্মতিক্রমে এই বিলোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে ৩৭০ ধারার তাৎপর্য কী?
৩৭০ ধারার ১ নং অনুচ্ছেদ উল্লিখিত হয়েছে, যেখানে রাজ্যগুলির তালিকায় জম্মু-কাশ্মীরকে রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে ৩৭০ ধারার মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধান লাগু হবে। তবে ১৯৬৩ সালের ২৭ নভেম্বর নেহরু লোকসভায় বলেছিলেন যে ৩৭০ ধারার ক্ষয় হয়েছে। জম্মু কাশ্মীরে ভারতীয় সংবিধান কার্যকর রাখার জন্য অন্তত ৪৫ বার ৩৭০ ধারা ব্যবহার করা হয়েছে। এ ভাবে রাষ্ট্রপতির আদেশের ভিত্তিতে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রায় নাকচ করা হয়েছে। ১৯৫৪ সালের নির্দেশ মোতাবেক প্রায় গোটা সংবিধানই, সমস্ত সংশোধনী সহ জম্মু-কাশ্মীরে কার্যকর করা হয়েছে। ৯৭টির মধ্যে ৯৪টি যুক্তরাষ্ট্রীয় তালিকা জম্মু কাশ্মীরে লাগু, ৩৯৫ টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ২৬০টি রাজ্যে কার্যকর, ১৩টির মধ্যে ৭টি তফশিলও কার্যকর (লাগু) রয়েছে সেখানে।
জম্মু কাশ্মীরের সংবিধান সংশোধনের জন্য ৩৭০ ধারাকে একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে যদিও ৩৭০ ধারার অন্তর্গত ভাবে রাষ্ট্রপতিরও সে ক্ষমতা নেই। পাঞ্জাবে এক বছরের বেশি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রাখতে সরকারের ৫৯তম, ৬৪ তম, ৬৭ তম এবং ৬৮তম সংবিধান সংশোধনী প্রয়োজন হয়েছিল। কিন্তু জম্মুকাশ্মীরের ক্ষেত্রে শুধু ৩৭০ ধারা প্রয়োগ করেই সে কাজ চলে যায়। তালিকাভুক্ত রাজ্যগুলির জন্য আইন প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ২৪৯ নং অনুচ্ছেদ জম্মু কাশ্মীরে লাগু করার জন্য বিধানসভায় কোনও প্রস্তাব পাশ করানো হয়নি, রাজ্যপালের সুপারিশের ভিত্তিতেই তা কার্যকর হয়ে যায়। এসব দিক থেকে দেখলে ৩৭০ ধারা জম্মু কাশ্মীরের অধিকারকে অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় খর্ব করে। এখন ৩৭০ ধারা, জম্মু কাশ্মীরের থেকে ভারত রাষ্ট্রের পক্ষে বেশি সহায়ক।
জম্মু কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ার জন্য ৩৭০ ধারার কি কোনও প্রয়োজন আছে?
জম্মু কাশ্মীরের সংবিধানের ৩ নং অনুচ্ছেদে বলা রয়েছে যে জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সংবিধানের প্রস্তাবনায় কোনও সার্বভৌমত্বের কথা তো বলাই নেই, বরং সংবিধানের উদ্দেশ্য হিসেবে অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির কথা বলা রয়েছে। এ রাজ্যের জনগণ স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃত, নাগরিক নয়। ৩৭০ ধারা সংহতি বিষয়ক নয়, স্বায়ত্তশাসন বিষয়ক। যাঁরা এর বিলোপ চাইছেন, তাঁরা সংহতি নিয়ে ভাবিত নন, তাঁদের মাথাব্যথা অভিন্নতা নিয়ে।
৩৫ এ ধারা কী?
৩৭০ ধারা থেকেই প্রবাহিত হয়েছে ৩৫এ ধারা, যা ১৯৫৪ সালের রাষ্ট্রপতির নির্দেশের মাধ্যমে কার্যকর হয়। ৩৫এ ধারানুসারে, জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দা বলতে কী বোঝায়, তাঁদের বিশেষ অধিকারগুলি কী কী, এ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার জম্মু কাশ্মীর বিধানসভার উপর ন্যস্ত রয়েছে।
জেনে রাখুনঃ
বিধানসভা কী?
ভারতের পার্লামেন্ট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট।
উচ্চ কক্ষঃ রাজ্যসভা। ২৫০। ২৩৮+১২।
নিন্মকক্ষঃ লোকসভা। ৫৪৫। ৫৪৩+২।
বিধানসভাঃ
আর প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব পার্লামেন্টের নাম বিধানসভা। এর আসন এক এক রাজ্যে এক এক রকম। যেমনঃ- পশ্চিম বাংলায় ২৯৪ আবার তেলেঙ্গানা ১১৯
#একটু_মজা_নিনঃ
বাংলাদেশের সংবিধানে আছে অনুচ্ছেদ। তার অধীনে আছে দফা।
ভারতের সংবিধানে আছে ধারা। তার অধীনে অনুচ্ছেদ।

Saturday, 5 May 2018

# বিভিন্ন # পরিমাপক #যন্ত্র -

# বিভিন্ন # পরিমাপক #যন্ত্র -
১. উচ্চতা পরিমাপক যন্ত্র - অলটিমিটার;
২. সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়াক যন্ত্র -
ফ্যাদোমিটার;
৩. ভূমিকম্প নির্ণয় করার যন্ত্র -
সিসমোগ্রাফ;
৪. ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপক
মাপার যন্ত্র - রিক্টার স্কেল;
৫. উড়োজাহাজের উচ্চতা মাপার যন্ত্র
- ওডোমিটার;
৬. দিক নির্ণয়ন যন্ত্র - কম্পাস;
৭. সূর্যের কৌণিক দূরত্ব নির্ণয়ক যন্ত্র -
সেক্সট্যান্ট;
৮. শ্রবণ শক্তি পরীক্ষার যন্ত্র - অডিও
মিটার;
৯. হৃৎপিন্ডের গতি নির্ণয়ক যন্ত্র -
কার্ডিওগ্রাফ;
১০. বায়ুর চাপ নির্ণয়ক যন্ত্র -
ব্যারোমিটার;
১১. গ্যাসের চাপ নির্ণয়ক যন্ত্র -
ম্যানোমিটার;
১২. বায়ুর গতিবেগ নির্ণয়াক যন্ত্র -
ব্যারোমিটার;
১৩. সূক্ষ সময় পরিমাপক যন্ত্র -
ক্রনোমিটার;
১৪. তাপ পরিমাপক যন্ত্র -
থার্মোমিটার;
১৫. বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র - রেনগেজ;
১৬. দুধের বিশুদ্ধতা পরিমাপক যন্ত্র -
ল্যাকটোমিটার;
১৬. মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণয়াক যন্ত্র
- স্ফিগমোম্যানোমিটার;
১৮. উদ্ভিদের বৃদ্ধি নির্ণয়ক যন্ত্র -
ক্রেসকোগ্রাফ
১৯. বায়ুর আদ্রতা নির্ণয়ক যন্ত্র -
হাইগ্রোমিটার;
২০. বাতাস/গ্যাসের ওজন/ঘনত্ব নির্ণয়ক
যন্ত্র - এ্যারোমিটার;
২১. উড়োজাহাজের বা মোটরগাড়ির
গতি নির্ণয়াক যন্ত্র - ট্যাকোমিটার।

Tuesday, 24 January 2017

All Bangla Blog (বাংলা ব্লগসমুহ)

                       Bangladeshi All Blog

Saturday, 31 December 2016

এসএমএস পাঠিয়ে স্মার্টকার্ড পাবেন যেভাবে -by Education

এসএমএস পাঠিয়ে স্মার্টকার্ড পাবেন যেভাবে

দেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড দেওয়া শুরু করেছে সরকার। ইতোমধ্যেই অনেকে নিজেদের কার্ড বুঝে পেয়েছেন।
তবে সবার হাতে এখনো পৌঁছায়নি স্মার্টকার্ড। কিন্তু যারা এখনও পাননি তারা নিজেই জেনে নিতে পারেন কখন হাতে পাবেন আপনার কার্ডটি। ১০৫ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে বা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন এ তথ্য।

এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের https://services.nidw.gov.bd/voter_center লিংকে গিয়ে এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ অথবা ফরম নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের তারিখ জানা যাবে। তবে যাদের স্মার্টকার্ড বিতরণের তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি তাদেরকে পরবর্তীতে আবার অনুসন্ধান করার কথা বলা হবে।
এসএমএসের মাধ্যমেও বিতরণের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম জানা যাবে। এসএমএসের মাধ্যমে জানতে SC লিখে স্পেস দিয়ে ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে। আর যাদের এনআইডি ১৩ ডিজিটের তাদের এনআইডির নম্বরের প্রথমে জন্ম সাল যোগ করতে হবে।
এখনও যারা এনআইডি পাননি তারা SC লিখে স্পেস দিয়ে F লিখে স্পেস দিয়ে নিবন্ধন স্লিপের ফরম নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে D লিখে স্পেস দিয়ে জন্ম তারিখ লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে।
গো নিউজ ২৪/ এস কে 

Monday, 21 November 2016

ইটালিতে সন্তান জন্ম দিলে ফ্রি হলিডে'র ব্যবস্থা



আসিসি শহরের কিছু হোটেল দম্পতিদের জন্য বিনামূল্যে ছুটি কাটানোর ব্যবস্থা করছে।
ইটালির আসিসি শহরের কিছু হোটেল দম্পতিদের জন্য বিনামূল্যে ছুটি কাটানোর ব্যবস্থা করছে।
তবে শর্ত হিসেবে ঐ হোটেল গুলোতে থাকার সময় তাদের গর্ভধারণ করতে হবে। স্থানীয় পর্যটন কাউন্সিলের উদ্যোগে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি দেশটির জন্মহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যাওয়া এবং একই সাথে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসাকে চাঙ্গা করার জন্য দম্পতিদের কাছে এই প্রস্তাব রাখা হচ্ছে।
এই হোটেলগুলোতে থাকার নয় মাস পর যদি তারা সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেখাতে পারেন তাহলে তাদের জন্য বিনামূল্যে ঐ হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হবে নতুবা পূর্বের অবস্থানকালীন অর্থ ফেরত দেয়া হবে।
ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ইটালি সবচেয়ে কম জন্ম হারের দেশ, এবং বিশ্বের মধ্যে অন্যতম প্রধান কম জন্ম হারের দেশ ইটালি।
২০১৫ সালে প্রতি এক হাজার জন বাসিন্দার মধ্যে মাত্র আটজন শিশু জন্ম নিয়েছে।
তবে কিছু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন। তারা বলছেন এই প্রকল্প তদন্ত করে দেখা হবে যে এটা আসলে আসিসি অঞ্চলের ইমেজের জন্য কতটা প্রযোজ্য।

Friday, 2 September 2016

অপরাধী নেই, নেদারল্যান্ডসে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জেল! কালের কণ্ঠ অনলাইন


নেদারল্যান্ডসে এখন সত্যজিত্‍ রায়ের গান বাজছে, 'আহা কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে'। হয়তো বাংলায় হচ্ছে না। সে দেশের ভাষাতেই হাল্লার রাজার মন্ত্রীর গুপ্তচর বলছে, 'সে দেশে সুখ আছে, শান্তি আছে, গাছে ফুল আছে, ফল আছে'। সঙ্গে এটাও বলবে যে, সে দেশে কোনও অপরাধ নেই। নেই কোনও অপরাধী। তাই জেলগুলোতে চড়ছে ঘুঘু। নয় নয় করে ১৮টি জেল বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার। কারণ? অপরাধী নেই, তো জেল ভরবে কোথা থেকে! এর পেছনে অবশ্য দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে। জেলে পচিয়ে শাস্তি দেওয়ার দিকে না ঝুঁকে বরং দোষীকে সামাজিক কাজেই ব্যবহার করেই তাঁকে মূল স্রোতে ফেরানো হয়। নেদারল্যান্ডসে ইলেক্ট্রনিক অ্যাঙ্কেল মনিটরিং সিস্টেম-এর মাধ্যমে একটি প্রযুক্তির সাহায্যে অপরাধীদের ওপর এক দিকে নজর রাখা হয়, অন্য দিকে তাঁদের সামাজিক এবং তাঁদের দৈনন্দিন কাজে উত্‍সাহ দেওয়া হয়। জাস্টিস মিনিস্টার আর্ড ফান ডার স্তেউর পার্লামেন্টে ঘোষণা করেছেন, নেদারল্যান্ডসের মতো ছোট দেশে আলাদা আলাদা প্রান্তে জেল সচল রাখার অর্থ পুরো জেল ব্যবস্থাতকে সচল রাখা। তাই জেলগুলি বন্ধ করার কথা ভাবা হয়েছে। অবশ্য এর আগে প্রতিবেশী দেশ নরওয়ে থেকে ২৪০ জেলবন্দি অপরাধী এনে একটি জেল সচল রাখা হয়েছিল। কিন্তু আর এমন করতে নারাজ সরকার। এর ফলে প্রায় দেড় হাজার কর্মী কাজ হারাচ্ছেন। প্রায় ৭০০ জন কর্মীকে অন্যান্য সরকারি কাজে পুনর্বহাল করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। 

Friday, 26 August 2016

প্রকাশ্যে ধুমপান করতে দেখলেই লাঠিচার্জের আদেশ


এখন জনসম্মুখে ধুমপান করলেই চলবে লাঠিচার্জ ! ধুমপান ঠেকাতে এমনই এক আইন পাশ করানো হয়েছে Chili  মাদক নিয়ন্ত্রন কমিশন ও স্বাস্থ্য বিভাগ এর যৌথ উদ্যোগে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সম্মেলনে এই আইন বাস্তবায়নের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এক বিবৃতি দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়, রাস্তায় দাঁড়িয়ে জনসম্মুখে বা প্রকাশ্যে কাউকে ধুমপান করতে দেখলেই তার উপর লাঠিচার্জ করা হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণ করে একটি সুস্থ্যসবল জাতি গড়তেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় উপস্থিতরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক Hero alom  বলেন, “বিড়ি সিগারেট বুঝিনা। মুরব্বি জোয়ানও বুঝিনা। রাস্তাঘাটে কারো শরীর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখলেই তার উপর লাঠিচার্জ করা হবে। একসাথে পনোরো বিশজন পুলিশ বা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠি দিয়ে ধুমপানকারীকে বেধরম পেটাতে থাকবে। মুখ থেকে সিগারেট ফেলে দিলেও কনসিডার করা হবেনা।”

এসময় তিনি উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ধুমপায়ীদের উপর লাঠিচার্জ করতে পারবে কিনা জিজ্ঞেস করলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা সম্মতি জানিয়ে বলেন, ‘শুধু লাঠি নয়, প্রয়োজনে গাছের  ডালপালা দিয়েও পিটানো হবে। তবুও আমরা একটা ধুমপায়ীকে বেচে ফিরতে দিবোনা। এব্যাপারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ 

Tuesday, 16 August 2016

১০ দিনে মিলবে সৌদি ভিসা: বিনা খরচায় সৌদিতে প্রতিমাসে ১০ হাজার কর্মী যেতে পারবে



নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর সৌদি শ্রমবাজার সহজতর হচ্ছে। মাত্র ১০ দিনে মিলবে সৌদি ভিসা। আবার বিনা খরচায় সৌদিতে প্রতিমাসে ১০ হাজার কর্মী যেতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিনা পয়সায় প্রতিমাসে বাংলাদেশ হতে ১০ হাজার কর্মী সৌদি আরব যেতে পারবে। কর্মী নেওয়া প্রক্রিয়া এবং অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণসহ সামগ্রিক বিষয় চূড়ান্ত করতে সৌদি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ সোমবার সকালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী। রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এই বৈঠক হয়।

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেছেন, ‘গৃহস্থালীর কাজে বাংলাদেশ হতে প্রতিমাসে ১০ হাজার কর্মী সৌদি আরব যেতে পারবে। এ জন্য তাদের কোনো টাকা-পয়সা লাগবে না। তাদের সমস্ত ব্যয় বহন করবে সংশ্লিষ্ট সৌদি কোম্পানি। শ্রমিকদের মাসিক বেতন হবে সর্বনিম্ন ১২শ’ রিয়াল।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী আরও জানান, ‘শুধু পাসপোর্ট ও মেডিকেলসহ আনুসঙ্গিক খরচ বাবদ ১৫/২০ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।’
এদিকে জানানো হয়েছে, সৌদি আরবে নতুন কাজের ভিসা দেওয়া হবে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে। আগে এতে সময় লাগতো ৯০ দিন বা তারও বেশি সময়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সৌদি গেজেট। তাতে বলা হয়, সৌদি আরবের শ্রমমন্ত্রী আদেল ফাকিহ ভিসা প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার এ নির্দেশ সৌদি আরবের সব শ্রম অফিস ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর ফলে মন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়মনীতির অধীনে নাগরিক, কোম্পানি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের জন্য ভিসা নিতে পারবেন খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৭ বছর বন্ধ থাকার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করেছে সৌদি সরকার। সে কারণে সৌদি সরকারের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল রবিবার বাংলাদেশ সফরে আসেন। সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপমন্ত্রী আহমেদ এফ আলফাহিদ এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

Source (http://bdnew.info)