Pages

Showing posts with label Motivation. Show all posts
Showing posts with label Motivation. Show all posts

Wednesday 2 December 2020

আপনি বেকার এর কারণ সম্ভবতঃ আপনি নিজেই (স্যরি টু সে)

আপনি বেকার এর কারণ সম্ভবতঃ আপনি নিজেই (স্যরি টু সে)




১. আপনি বেকার, সংসারে ইনকাম করার মত আর কেউ নেই, প্রেমিকার অন্য কোথাও বিয়ে হয়ে যাচ্ছে- এসব নিয়ে দিলেন একটা ইমোশনাল স্ট্যাটাস! প্রচুর লাইক কমেন্ট পড়লো। লাভ কি? আপনি মানুষের করুণা পাবেন, চাকরি নয়!
তাই, দয়া করে নিজের দুঃখ বিক্রি করা বন্ধ করে দক্ষতা বাড়ানোতে মন দিন।
২. আপনি গ্রাজুয়েশান করে নিজেকে কুতুব ভাবা শুরু করেছেন। ক্যাডার ছাড়া চাকরি করবেন না। ননক্যাডার, ২য় শ্রেনির চাকরি, স্কুলের শিক্ষকতা এসব "ছোট" চাকরিতে আবেদন করতে আপনার রুচিতে বাঁধে। একটা বিসিএসের ফাইনাল রেজাল্ট হতে চলে যায় ৩ বছর। চাকরি হয় না। মাঝখান দিয়ে চলে যায় আরও শ'খানেক সার্কুলার যেগুলোতে আপনি অ্যাপ্লাইও করেননি। করলে একটা না একটাতে চাকরি হোতোই। বিসিএস এর মত চরম আনসার্টেন পরীক্ষার উপর যে ভরসা করে বসে থাকে সে বেকার থাকবে না তো কে বেকার থাকবে?
অতএব, সামনে যে সার্কুলার পাবেন অ্যাপ্লাই করুন। পরে ভালো চাকরি পেলে তো ছেড়ে দিতে পারবেনই। মাঝখান দিয়ে বেকার তকমা ঘুচবে আর পে অর্ডারের টাকাটা উঠে যাবে।
৩. আপনার ছোটবেলা থেকে অংক দেখলে জ্বর আসতো, না বুঝে মুখস্ত করতেন। আজকে ব্যাংকার বন্ধুর স্যালারি দেখে ব্যাংকে চাকরির ইচ্ছা জেগেছে।
অথবা, পাঠ্য বইয়ের বাইরে একটা বইও পড়েননি জীবনে। পেপার, ম্যাগাজিন উল্টেও দেখেননি। এখন বড় ভাইদের দেখে বিসিএস ক্যাডার হবার শখ হয়েছে।
পরীক্ষার পর পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন, চাকরি হচ্ছে না। গালাগালি করছেন ভাগ্যকে।
এক্ষেত্রে দোষ কার? সব কিছু সবার জন্য না- এটা মাথায় ঢুকান। আপনার দক্ষতা কোথায়? সেই রিলেটেড চাকরি খুজুন। যদি কোন কিছুতেই আপনার দক্ষতা না থাকে তাহলে চাকরি আপনাকে কেন দিবে?
৪. টাকা ছাড়া চাকরি হয় না, মামা-চাচা ছাড়া চাকরি হয় না- এসব কথা বলে আপনি আপনার দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা করছেন। আমি দুটো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির লেকচারার, ব্যাংকের এমটিও, বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি এবং বর্তমানে সহকারী কমিশনার হিসেবে চাকরি করার অভিজ্ঞতা এবং বন্ধু, বড়ভাইদের অভিজ্ঞতা থেকে জানি মামা, চাচা, টাকা ছাড়াও চাকরি হয়। ভালো চাকরিই হয়।
নিজের দুর্বলতা ভুল এক্সকিউজ দিয়ে না ঢেকে স্বীকার করুন। দুর্বলতা কাটাতে চেষ্টা করুন। নিজেকে গড়ে তুলুন।
৫. তর্কের খাতিরে ধরলাম আপনার অভিযোগ সত্য। একটা প্রতিষ্ঠানে যদি ১০০ জন নেয়া হয় এরমধ্যে কতজনকে টাকা, মামা, চাচার জন্য নিবে? যিনি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে আছেন তারতো প্রতিষ্ঠান চালাতে হবে। তিনি ভালো করেই জানেন রেফারেন্সে অযোগ্য লোক নিলে তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। ১০০ জনের মধ্যে উনি ১০ বা সর্বোচ্চ ২০ জনকে রেফারেন্সে নিবে। বাকিদের তো যোগ্যতার ভিত্তিতে নিবে? তর্কের খাতিরে ধরলাম ৫০ জনকে রেফারেন্সের জন্য নেয়া হলো। আপনার চাকরি হলো না। তার মানে বাকি যে ৫০ জনকে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেয়া হলো, আপনি তাদের থেকে দুর্বল।
পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে আপনাকে ঐ ৫০% এর মধ্যে আসতে হবে। এটাই সার্ভাইবাল অফ দ্যা ফিটেস্ট। যোগ্যতা না বাড়ালে ঝরে যাবেন।
৬. অনেক কড়া কড়া কিছু কথা বললাম। বেকারদের প্রতি সহানুভূতির কথা সবাই বলে। কিন্তু বেকারদের সহানুভূতি নয়, চাকরি দরকার। এই পোস্ট আপনার ভালো লাগার দরকার নেই। বরং এটি আপনার ভেতর জেদ তৈরি করলেই আমি খুশি।
এই জেদটা জিইয়ে রাখুন।

Saturday 5 August 2017

Success doesn't come automatically.- পিছিয়ে পড়ার মানেই, নিঃশেষ হয়ে যাওয়া নয়।

পিছিয়ে পড়ার মানেই, নিঃশেষ হয়ে যাওয়া নয়।
প্রিয়জন ছেড়ে যাওয়ার মানেই, বেচে থাকাটা
মূল্যহীন হয়ে যাওয়া নয়। এক দরজা থেকে ফিরিয়ে
দেয়ার মানেই, সব দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া নয়। কারণ,
জীবনের খেলায় কেউ দু-চার দিনে অল-আউট হয় না।
লাইফের টিভি সিরিয়াল, আট-দশটা এপিসোড হয়েই
বন্ধ হয়ে যায় না। এক সাবজেক্ট বা এক
সেমিস্টারের রেজাল্ট দিয়ে অনার্স-মাস্টার্সের
ওভারঅল সিজিপিএ নির্ধারিত হয় না।
.
তোমার ব্যর্থতার মানে, তোমার ভুল শুধরানোর
সুযোগ। তোমার পিছিয়ে পড়ার মানে, স্কিল
ডেভেলপ করতে উদ্বুদ্ধ করা। তোমাকে ধোঁকা
দেয়ার মানে, বিকল্প উপায়ে চেষ্টা করার তাগিদ
দেয়া। পরীক্ষায় বাম্বু খাওয়ার মানে, পড়ালেখার
ব্যাপারে সিরিয়াস হতে সতর্ক করে দেয়া। চাকরির
ইন্টারভিউতে রিজেক্ট হওয়ার মানে, পরের
ইন্টারভিউর জন্য ১০গুন ভালো প্রিপারেশন নিতে
ইঙ্গিত দেয়া।
কোদাল খুঁজে না পাওয়ার মানে, একটু বেশি কষ্ট
করে ছুরি বা গাছের ডাল দিয়েও মাটি খোঁড়ার
ডেডিকেশন আছে কিনা যাচাই করা। উঠানের গাছ
মরে যাওয়ার মানে, খালের পাড়ে-নদীর ধারে চারা
লাগাতে উৎসাহ দেয়া।
.
জীবনে ধোঁকা খাওয়া, বোকা হওয়া- সমস্যা না।
পরীক্ষার লাড্ডু পাওয়া, ছ্যাঁকা খাওয়াও- সমস্যা
না। সমস্যা হচ্ছে- সাময়িক ব্যর্থতা দেখে দমে
যাওয়া। আশানুরূপ ফল না দেখে, রাস্তা ছেড়ে
দেওয়া। ক্লান্ত হয়ে লক্ষ্য ভুলে যাওয়া। দৌড়ে যে
প্রথম হচ্ছে তার সাথে নিজেকে তুলনা করে হতাশ
হয়ো না। বরং তুমি দৌড়ে ২০তম হইলে তোমার
কম্পিটিশন হবে ১৯তম এর সাথে। তাকে পিছনে
ফেলাতে পারলে ১৮তম এর সাথে টেক্কা দিবে।
এইভাবে এক এক করে সামনে এগুতে পারলে, যখন
প্রথম তিন-চার জনে আসবে তখন ১ম জনের সাথে
নিজেকে তুলনা করবে।
.
শুনো, তোমার বাসায়, পকেটের টাকায়, মনের
জানালায় হাজারটা সমস্যা থাকতে পারে। রাতের
গরমে, ছারপোকার কামড়ে তোমার জীবন অতিষ্ঠ
হয়ে উঠতে পারে। তোমার বন্ধুদের প্রেমিকাসহ
ফুচকা খাওয়ার ছবি দেখে তোমার অন্তর হাহাকার
করে উঠতে পারে। তবে আজকের দিনটা চলে গেলে,
ক্যালেন্ডারের পাতাটা উল্টে গেলে, পাওয়া-না
পাওয়ার হিসেব কিন্তু লেখা হয়ে যাবে। জীবন
বেশি উপভোগ করতে গিয়ে, অনুশোচনা করো না।
এক্সট্রা মজা নিতে গিয়ে, এক্সট্রা সাজা জুটিয়ে
ফেলো না। আনন্দ আর ইফোর্ট এর মধ্যে ব্যালেন্স
রাখো। একদিন রিলাক্স করে, আড্ডা মেরে, ছয়দিন
ফুল স্পিডে কাজ করার এনার্জি সঞ্চয় করো। লেগে
থাকো। দেখবে, শত শত লাত্থি উষ্ঠা খেয়েও ঠিকই
ঘুরে দাড়িয়ে গেছ।
Best of Luck.