Pages

Showing posts with label বাস্তবতা. Show all posts
Showing posts with label বাস্তবতা. Show all posts

Friday, 4 October 2019

যারা সাম্প্রতিক নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য

বিসিএস এ বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ও ভূগোল, এই তিন বিষয় কে সাধারণ জ্ঞান বলা যায়। সাধারণ জ্ঞানের দুটো অংশ থাকে, একটি স্থায়ী অংশ আর অন্যটি অস্থায়ী বা পরিবর্তনশীল বা সাম্প্রতিক অংশ। বিগত বছরগুলোর বিসিএস প্রিলির প্রশ্ন এনালাইসিস করে বলা যায়, স্থায়ী অংশ থেকে প্রিলিমিনারিতে ৯০% প্রশ্ন আসে আর সাম্প্রতিক অংশ থেকে ১০%। অর্থাৎ এই তিন বিষয়ে প্রিলিতে মোট ৬০ মার্কস এর মধ্যে ৫৪ মার্কস থাকবে স্থায়ী অংশ থেকে আর ৬ মার্কস থাকবে সাম্প্রতিক থেকে। স্থায়ী অংশ বলতে বুঝায় যেটি আর পরিবর্তন হবে না, যেমন ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ বা জাতিসংঘের ইতিহাস। এগুলো পরবর্তী ১০০ বছর পরেও একিভাবে পড়তে হবে। এই অংশের সুবিধা হলো একি তথ্য আজীবনের জন্য। যেহেতু এই অংশে কষ্ট কম, মার্কস বেশি, তাই এই অংশে বেশি জোর দিতে হবে। সাম্প্রতিক অংশ থেকে মাত্র ৬ মার্কস, কিন্তু প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়, কিছু দিন পর পর আবার তথ্য হালনাগাদ করতে হয়। কাজেই এই অংশ থেকে একটু বেছে বেছে পরতে হবে। মাসিক সাম্প্রতিক পত্রিকা গুলোতে যে পরিমাণ তথ্য দেয়, তা আত্মস্থ করতেই মাসের ১০ দিন চলে যায়। আমি যে থিওরি মানি তা হলো "তুলনামূলক কম পড়ে কিভাবে সর্বোচ্চ নম্বর নিশ্চিত করা যায়"। সাম্প্রতিক অংশ থেকে এমন তথ্য গুলো পড়তে হবে, যার প্রাসঙ্গিকতা নূন্যতম ৬ মাস থাকবে। যেমন ৩৮ প্রিলির আগে কৃত্রিম বুদ্ধি সম্পন্ন রোবট সোফিয়া বাংলাদেশে এসেছিল, ঐ বিসিএস এ নিয়ে প্রশ্ন আসে নি, আর জীবনে আসবেও না। ধরো এ মাসে সংসদে ৫ টা বিল পাস হয়েছে, তারিখ সহ মুখস্ত করলে,( মনে থাকবে না নিশ্চিত) কিন্তু ৬ মাস পরের পরীক্ষায় হয়তো একটা বিলের প্রাসঙ্গিকতা থাকবে, কাজেই ঐ একটাই শুধু পড়তে হবে। কাজেই সাম্প্রতিক থেকে পড়তে হবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার চেয়ারম্যান, সর্বশেষ বৈঠক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির প্রস্থান, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে এমন কোনো ঘটনা, খেলাধূলায় বিশেষ কৃতিত্ব এসব। কোন ঘটনা যদি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে বা সরকারের লস প্রজেক্ট, নিশ্চিত থাকো, সেটা কখনো পরীক্ষায় আসবে না। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে সাম্প্রতিক পড়ার সময়, সেটা হলো যা পড়ছি তার গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা কতটুকু? আগে স্থায়ী অংশ শেষ করো তারপর সাম্প্রতিক নিয়ে চিন্তা করো। কোনো একটা নির্দিষ্ট পরীক্ষা কে টার্গেট করে তিন মাস সাম্প্রতিক এর উপর নজর দিলেই হবে ইনশাআল্লাহ। তবে প্রতিদিন একবার অবশ্যই দৈনিক পত্রিকায় চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। সবার সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করছি।

Thursday, 28 February 2019

যে ছেলেটা নিজের কেরিয়ার গ​ড়ার চেষ্টায় গার্ল ফ্রেণ্ডকে বললো, “এখন বিয়ে করতে পারবো না


Image result for gf and bf

যে ছেলেটা নিজের কেরিয়ার গ​ড়ার চেষ্টায় গার্ল ফ্রেণ্ডকে বললো, “এখন বিয়ে করতে পারবো না”, বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর সে কক্ষণো কাজে মন দিতে পারে নি।
যে মেয়েটা আরও স্বাধীন ভাবে বাঁচবে বলে বাড়ি ছেড়ে অন্য শহরে চলে এসেছে সারাদিন ঘুরে ঘুরে জীবনটাকে উপভোগ করার ইচ্ছে নিয়ে, সে এখন সবসম​য় বাড়িতে একলা বসে থাকে আর ভাবে মা বাবাকে একটা ফোন করা ঠিক হবে কিনা ।
যে ছেলেটা, বউয়ের মুখ ঝামটায় অতিষ্ঠ হ​য়ে দূরে চলে গেছে, শুধু এই ভেবে যে একলা থাকলে বেশি লেখার সম​য় পাওয়া যাবে, সে আর কোনোদিন আগের মত ছন্দ মিলিয়ে তুখোড় লাইন লিখতেই পারে নি ।
যে মেয়েটা মায়ের সাথে ঝগ​ড়া করে নিজের ইচ্ছেমত বৃষ্টিতে ভেজার হুমকি দিয়ে বেরিয়ে গেলো, সে বাড়ি থেকে কিছুদূরে স্টেশনে ছাতার নীচে একা বসেছিলো, কোত্থাও ভিজতে যেতে পারে নি ।
যে ছেলেটা একলা সিকিমে এডভেঞ্চারে যাবে বলে বউকে সঙ্গে নিতে চায় নি, সে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যেতে পারে নি, শিয়ালদা স্টেশন থেকেই একা বাড়ি ফিরে বউকে জ​ড়িয়ে সে হাউ হাউ করে কেঁদেছে ।
যে মেয়েটা কাল রাত্রে রাগের চোটে ব্রেক আপ করে বলেছিল​, “তোকে ছাড়া আমি খুব ভালো থাকবো, একদম ফোন করবি না আমায়”, সে আজ সারাক্ষণ ফোনের দিকে হা কিরে চেয়েছিলো, যদি একটা মেসেজ আসে ।
মানুষ একলা বাঁচতে চেয়েও পারে না, তাকে প্রিয়জনের সাথে নিজের মত করে বাঁচতে হ​য় ।
ভালবাসায় আগলাতে হ​য়, ছেড়ে যেতে নেই ।
-------অরুণাশিস সোম
https://www.youtube.com/channel/UC9EndGTcSVgfW20n0Hr9mkg

Saturday, 5 August 2017

উচ্চ বেতনে চাকুরি করা এক যুবক আরেক গরীব যুবককে প্রশ্ন করলো,

উচ্চ বেতনে চাকুরি করা এক যুবক আরেক গরীব যুবককে প্রশ্ন করলো,
- তুমি কোথায় চাকুরি করো?
- একটা ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে।
- স্যালারি কতো?
- ৫০০০।
- মোটে পাঁচ হাজার? চলো কিভাবে? তোমার মালিক তোমার প্রতি অবিচার করছে। তোমার যা যোগ্যতা, হেসেখেলেই তুমি অনেক টাকা বেতন পেতে পারো।
.
যুবকের মেজাজ খাট্টা হয়ে গেলো। নিজের কাজের প্রতি, বসের প্রতি বেজায় রুষ্ট হয়ে উঠলো। পরদিন গিয়ে সরাসরি বসকে জুলুমের কথা জানালো। কথা কাটাকাটি হওয়াতে বস তাকে চাকরিচ্যুত করলো।
এখন যুবকটি বেকার।
২.
- তোমার প্রথম সন্তান হলো বুঝি?
- জ্বি।
- তোমার স্বামী এ উপলক্ষ্যে তোমাকে কিছু দেয় নি? উপহার বা এ জাতীয় কিছু?
- না। কেন দিবে? এ তো আমাদেরই সন্তান! টাকা দিতে হবে কেন?
- কেন তোমাকে হাত খরচার জন্যেও তো দু’চার পয়সা দিতে পারে। তার কাছে তোমার কোনও মূল্য নেই? তুমি চাকরানি?
.
স্ত্রীর মনে ধরলো কথাটা। সারাদিন কথাটা ভাবতে ভাবতে মনটা বিষিয়ে উঠলো। সত্যিই তো! আমাকে একটা টাকাও কখনো ছোঁয়ায় না! রাতে কর্মক্লান্ত স্বামী ঘরে ফিরলো। স্ত্রীর মুখ দিয়ে বোমা বিস্ফোরিত হলো। লেগে গেলো দু’জনে। কথা কাটাকাটি। ঝগড়া। হাতাহাতি। শেষ পর্যন্ত তালাকে গিয়ে গড়াল।
৩.
- এই বৃদ্ধ বয়েসে কষ্ট করছেন? ছেলে ঢাকায় থাকে, বড় চাকুরি করে শুনেছি। বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকে। আপনাদের দু’জনকে নিয়ে যেতে পারে না? আপনাদের দেখতেও তো আসে না!
- না না, ছেলে আমার খুবই ব্যস্ত। টাকা পাঠায় তো। ফোনে খোঁজ-খবর নেয়। নিয়মিত।
- কী এমন ব্যস্ততা তার শুনি? নিজের জন্মদাতা-দাত্রীকে দেখতে আসার সময় হয় না?
- সারাদিন অফিস-বাসা করতে করতেই সময় চলে যায়!
- আপনি খোঁজ নিয়েছেন? সে ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছে। আর আর আপনারা অজপাড়াগাঁয়ে ধুঁকছেন?
.
বৃদ্ধ বাবা বাসায় এসে স্ত্রীকে খুলে বললো। স্ত্রীও বাধা দিল,
- আপনি ভুল শুনেছেন। সে আসলেই ব্যস্ত।
- নাহ, খন্দকার সাহেব কি মিথ্যা বলতে পারেন? ...আহা রে! কাকে বুকের রক্ত পানি করে বড় করলাম?
.
.
কিছু "নিরীহ" প্রশ্ন আমাদের সুখী জীবনকে এক লহমায় দুঃখী করে দিতে সক্ষম। ছদ্মবেশী দরদীরা নিস্তরঙ্গ শান্ত জীবনে অশান্তির দাবানল জ্বালিয়ে দেয়...
.
- কেন? সেটা এখনো কিনেন নি?
- আপনাদের এখনো বাচ্চাকাচ্চা হয় নি?
- এই জীবন কিভাবে বহন করে চলেছেন?
- ছেলেকে বিশ্বাস করে বসে আছেন?
- ছেলে তো বউয়ের কেনা গোলামে পরিণত হয়েছে!
.
.
গল্পের নির্যাসঃ
= ফাসাদ সৃস্টিকারী হয়ো না।
= হিংসুকদের ছলনায় পড়ো না।

সেই আহমদ ছফা


Image may contain: 2 people, people smiling, people standing

"আহমদ ছফাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “আপনি কী মনে করেন হুমায়ুন আহমেদ এখন শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের সমান জনপ্রিয় লেখক?”
জবাবে আহমদ ছফা মুচকি হেসে বলেছিলেন, “হুমায়ুন আহমেদ এখন শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের চেয়েও জনপ্রিয় লেখক। কিন্তু মেরিটের দিক দিয়ে সে নিমাই ভট্টাচার্যের সমান। হি রাইটস ওনলি ফর বাজার!”
সেই আহমদ ছফা
“স্বাধীনতার পরে শহীদ পরিবার হিসেবে মোহাম্মদপুরে বাড়ি দিল সরকার। তিন দিন পর সেই বাড়িতে রক্ষীবাহিনী এসে হাজির। আমার মতো মানুষরে উচ্ছেদ করতে ট্রাকভর্তি অস্ত্রশস্ত্র আনছে! সুবেদার মেজর হাফিজ আমাদের বাসার পর্দাটর্দা ছিঁড়া ফেলল। অশালীনভাবে আমাদের উচ্ছেদ করল। এ সময় আমাদের পাশে এসে দাঁড়াইল আহমদ ছফা। রক্ষীবাহিনীর অন্যায়ের প্রতিবাদে কেরোসিন ঢাইলা নিজের গায়ে আগুন ধরাইয়া দেওয়ার হুমকি দিল সে।”
– আয়েশা ফয়েজ [হুমায়ূন আহমেদের মা]
হুমায়ুন আজাদের "নারী" নিষিদ্ধ করার পর আহমদ ছফা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্রি করেছিলেন সেই বই।
চুলের ডগা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত হচ্ছে একজন সত্যিকার সাহিত্যিকের।“ খানিকটা দূর থেকে মাথার নিচে বই দিয়ে বেঞ্চে শুয়ে থাকা আহমদ ছফাকে দেখিয়ে নিজের ছেলেকে এমনটি বলেছিলেন জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
আহমদ ছফা- সমাজের শেকড়ে পেতে রেখেছিলেন নিজের আত্মা-মনন-চৈতন্যকে। এদেশের বিভিন্ন কালপর্বের হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন ফুটে উঠেছে তাঁর লেখায়, তাঁর কাজে। বুদ্ধিবৃত্তিক শঠতা, ভণ্ডামি,পরশ্রীকাতরতাকে যেমন তিনি নির্মমভাবে তুলে ধরেছেন, তেমনই ধিক্কার দিয়েছেন ভীরু-কাপুরুষদের, চাবকে দিতে দ্বিধায় ভোগেননি- তার কলম ঝলসে উঠেছে নষ্টদের বিরুদ্ধে ।
ত্রিকালদর্শী এই লেখক বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই এ সত্য উচ্চারণ করেছিলেন যে, এদেশের বুদ্ধিজীবীরা যা বলেছে তা শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না এবং আজ যা বলছে তা শুনলে এদেশের সমাজও পরিবর্তিত হবে না- সেই কথাগুলো আজও কত প্রাসঙ্গিক ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পতিত জমিতে সব্জি চাষ করেছেন, অবহেলিত পথশিশুদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন পাঠশালা, গরিব মেয়েদের জন্য সেলাই স্কুল খুলেছেন, পুষেছেন পাখি। যান্ত্রিক এই নগরীর ছাদের টবে ফুটিয়েছেন ফুল- এসবের ভেতরেই একজন প্রাণবান চিরতরুণকে খুঁজে পাই। যিনি পরজীবী পরগাছা বুদ্ধিজীবী নন।
আহমদ ছফা জন্মেছিলেন তাঁর বুকের ভেতর মানুষের জন্য অপরিসীম ভালবাসা নিয়ে। একটি লাঞ্ছিত বেগুন গাছের চারা প্রাণ ফিরে পেয়েছে তাঁর শুশ্রƒষায়। প্রায় খুন হয়ে যাওয়া একটি মুমূর্ষু তুলসী গাছকে বাঁচিয়ে তোলেন পরম যত্ন-সেবা দিয়ে। তাঁর ‘পুষ্প বৃক্ষ বিহঙ্গ পুরাণে’ এসব সাধারণ ঘটনা পড়ি আর মুগ্ধ হয়ে যাই।
এই নিষ্পত্র স্বজনহীন নগরে মানুষের প্রতি ভালবাসাকে যুদ্ধজয়ের একমাত্র আয়ুধ বলে আমাদের ভেতর আর আস্থা জাগাবেন কে?
হাজার সালাম হে স্বাপ্নিক
আহমদ ছফা ও তারেক মাসুদ স্বপ্ন দেখা,তা ছড়িয়ে দেয়ার দুই স্বাপ্নিক।

Sunday, 9 April 2017

"জিন্দেগী না মিলেগি দোবারা"

"জিন্দেগী না মিলেগি দোবারা"

দুভাবে নিতে পারেন কথাটা। বাকি জীবন কিভাবে কাটাবেন তার একটা খসড়া করুন। ফুর্তিতে, মাস্তিতে আড্ডায় একটা ভরপুর জীবন হতে পারে। আমার গ্রামের এক নৌকার মাঝির কথা মনে পরছে।তাকে কখনই মন খারাপ করে থাকতে দেখিনি।সারাক্ষণ মুখে হাসি।সবার সাথে বুকটান করে কথা বলতেন। রাতে বন্ধুদের নিয়ে রাতভর গানের আসর জমাতেন।কারও এতটুকু বিপদে সবার আগে সেই থাকতো। কি জম্পেস একটা লাইফ (কেন যেন তাকে আমার অনুকরন করতে ইচ্ছে হত,হয়ত এখনো করি)। লাইফে অনেক টাকা থাকতে হবে এর কোন মানে হয়না।এই মাঝি ভাইটা কিন্তু দিন আয় করে দিনে খেত। আমার মনে হয় আমরা খুব কম মানুষই তার মত এত সুখ পাই জীবনে,ইন ফ্যাক্ট পাইই না।
প্রথমত, জীবনটা সাময়িক,তাই সময়গুলো ভাল লাগায় পরিনত করার চেষ্টাটা করা যায়।
 দ্বিতীয়ত, বেচে থাকা সাময়িক সময়টুকু মৃত্বর জন্যও দারুন প্রস্তুতিময়ও করা যেতে পারে। যে যে ধর্মেরই হইনা কেনো ভাল কাজ সব ধর্মেই করতে বলে।কোন ধর্মেই নেই অন্যকে কষ্ট দিন,কোন ধর্মেই নেই আত্মাকে অপবিত্র রাখুন,কোন ধর্মেই নেই সৃষ্টিকর্তাকে অমান্য করুন। অর্থাৎ সব ধর্মেই ডিসিপ্লিন মেনে চলতে বলেছে। তো, যা ভাল তা করতে পারলে সবার আগে নিজেরইতো লাভ বেশি। যা ভাল তা করলে নিজের হার্টটাই সবচেয়ে বেশি ভাল থাকবে। এক্সট্রিমিজম থিউরি বাদ দিয়ে, নিজ ধর্মের ভাল ভাল কথাগুলো মেনে নিতে সমস্যা কোথায়? শয়তান একটু নাখোশ হবেন এইতো!
যিনি যে ধর্মে বিশ্বাসী তিনি সেই ধর্মের ভাল দিকগুলোই মেনে চলুন; সুন্দর ও স্মার্ট থাকুন।
(একান্তভাবেই আমার আমিকেই উপদেশ দিয়ে লেখা)

Written by 
Mukul Prodhan 

Saturday, 28 January 2017

মানুষের ভালবাসার চেয়ে টাকার মূল্যায়ণ কখনো বেশি হতে পারে না

 মানুষের ভালবাসার চেয়ে টাকার মূল্যায়ণ কখনো বেশি হতে পারে না


পৃথিবীতে সেই ভালো যে সব মানুষের ভালবাসা পায়, ক্ষণিকের সুখের জন্য জীবনের বড় সময়টাকে নষ্ট না করে মানুষের ভালবাসা নিয়ে বেচেঁ থাকাটা হলো সবচেয়ে সুখের । তার জন্য প্রতিবাদী পুরুষ হিসাবে যদি না প্রকাশ করা যায়,তাহলে হয়ত অনেকেই মূল্যায়ণ করে না, আর যারা করে শুধু সামনা সামনি আর আড়ালে ঠিকেই গালি দেয় । এখানে নিজের ভাই বা কোনো আস্তীয় হোক অন্যায়ে বিরুন্ধে প্রতিবাদী হওয়া উচিত, আর না হলো নিজের সন্তানের জন্য একটা বিশাল অন্ধকার ভবিষ্য রেখে যায় ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। হয়ত আমি না ঠিক একজন্য এর প্রতিবাদ করবে একদিন । আর তার জন্য জীবনে চরম মূল্য দিতে হবে নিজের অথবা নিজের সন্তানদের । মানুষের ভালবাসার চেয়ে টাকার মূল্যায়ণ কখনো বেশি হতে পারে না ।
 Mustafizur Rahman

Friday, 27 January 2017

মেয়েদের সহজে প্রেমে পটানো যায় কীভাবে?




আপনার উদ্দেশ্য যদি শুধু জীবনে একটি নারীকে পটানো হয় তাহলে ঠিক আছে। তাহলে আপনি পটানোর চেষ্টা করতেই পারেন তাকে যাকে আপনার মন থেকে ভালো লাগে। এর জন্য শিখে নিন মেয়ে পটানোর এই টিপসগুলো :

পছন্দের নারীর জীবনে সুপারম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন
আপনি যদি আপনার পছন্দের নারীকে আকৃষ্ট করতে চান তাহলে তার জীবনের 'সুপার ম্যান' হয়ে যান। অবাক হয়ে গেলেন? সুপার ম্যান হওয়া তেমন কোনো কঠিন বিষয় না। শুধু পছন্দের মানুষটির বিপদে পাশে দাঁড়ালে আর ইচ্ছা অনিচ্ছার দিকে খেয়াল রাখলেই আপনি হতে পারবেন তার সুপার ম্যান।


সবসময় তাঁর কল ও মেসেজের জবাব দিন
আপনার পছন্দের নারীটি যদি আপনাকে খুব শখ করে কল করে কিংবা ম্যাসেজ দেয় তাহলে আপনি যত ব্যস্তই থাকুন না কেন চেষ্টা করুন সেগুলোর জবাব দিতে। একবার যদি অবহেলা করে ফেলেন তাহলে আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে আপনার দূরত্ব বেড়ে যাবে অনেকখানি।


দুঃসময়ে উপদেশ না দিয়ে পাশে থাকুন
আপনার পছন্দের নারীটির জীবনে দুঃসময় চলছে? তাকে অহেতুক উপদেশ বাণী না শুনিয়ে তাকে সঙ্গ দিন। চেষ্টা করুন সব সময় তার পাশে থাকার। তাহলে সে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে।


নিজের চুলের যত্ন নিন
নারীরা ছেলেদের চুল খুবই ভালোবাসে। সুন্দর ও পরিষ্কার চুল এবং আধুনিক হেয়ার কাট দিয়ে নিজেকে ফিটফাট রাখুন। আপনার পছন্দের নারী খুব সহজেই আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবেন।


নিজেকে রাখুন দৈহিক ভাবেও আকর্ষণীয়
পছন্দের নারীকে আকর্ষণ করতে চাইলে আপনার দৈহিক গঠনের দিকে খেয়াল রাখুন। অতিরিক্ত ওজন, খুব কম ওজন কিংবা ভুড়ি আপনার আকর্ষন কমিয়ে দিতে পারে আপনার প্রিয় মানুষটির কাছে। আর তাছাড়া আপনার শারীরিক গঠন সুন্দর হলে আপনাকে যে কোনো পোশাকেই মানিয়ে যাবে। এখনকার নারীরা ছেলেদের ফিগারের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। তাই আপনার পছন্দের নারীকে আকর্ষন করতে চাইলে নিজের শারীরিক গঠনের দিকে খেয়াল রাখুন।

পারফিউম ছাড়া চলবে না মোটেই!
নারীরা সব সময়েই সুন্দর ঘ্রান পছন্দ করে। আর তাই একজন নারীকে আকর্ষণ করার সবচাইতে কার্যকরী একটি উপায় হলো রুচিশীল সুন্দর সুগন্ধী ব্যবহার করা। আপনার পছন্দের নারীর আশে পাশে থাকলে অন্তত সুগন্ধী ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে সে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং আপনার প্রতি তার আকর্ষণ সৃষ্টি হবে।

পরিচ্ছন্নতা ও স্মার্টনেসের দিকে খেয়াল রাখুন
পছন্দের নারীটিকে আকর্ষণ করার জন্য সব সময় পরিচ্ছন্নতা ও স্মার্টনেসের দিকে লক্ষ্য রাখুন। নারীরা স্মার্টনেস পছন্দ করেন। বিশেষ করে ক্যাসুয়াল পোশাকে চাইতে ফরমাল পোশাকেই পুরুষদেরকে বেশি পছন্দ করেন নারীরা। তাই পছন্দের নারীর মন পাওয়ার জন্য নিজেকে সব সময় ফিটফাট ও পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।

হাসি ও খাওয়াদাওয়ার মার্জিত ভঙ্গি রপ্ত করুন
নারীরা হাসিখুশি পুরুষদেরকে পছন্দ করে। গম্ভীর ধরনের পুরুষদের ধারে কাছেও ঘেষতে চায় না নারীরা। পছন্দের নারীর মন পেতে চাইলে সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। নিজেকে আড্ডা, রসালাপ ও নানান রকম প্রানবন্ত কাজে নিয়জিত করুন। এছাড়াও খাওয়ার দাওয়ার ভঙ্গিতেও হওয়া চাই স্মার্ট। শব্দ করে খাওয়া কিংবা ছড়িয়ে ছিটিয়ে খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। তাহলে আপনার পছন্দের নারী খুব সহজেই আপনার প্রতি আকর্ষণবোধ করবে।

চোখে চোখ রেখে কথা বলতে শিখুন
পছন্দের নারীর মন পেতে চাইলে তার সাথে সব সময় চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। কথা বার্তায় কোনো ধরনের জড়তা রাখবেন না। কথা বার্তার জড়তা কিংবা নিজেকে গুটিয়ে রাখা নারীরা একেবারেই পছন্দ করেন না। সম্ভব হলে তার প্রতি আপনার আকর্ষণের বিষয়টি সরাসরি বলে দিন। এতে আপনার পছন্দের নারী রাজি হোক কিংবা না হোক আপনার প্রতি তার ধারণা ভালো হবে এবং আপনার নির্ভিকতার প্রতি আকৃষ্ট হবে সে

এছাড়া :

পুরুষের ৬টি বিচিত্র আচরণ নারীর চোখে আকর্ষণ বাড়ায় বহুগুণে! : এটা আদিমযুগ থেকেই চলে আসছে যে নারী-পুরুষ উভয়ে উভয়ের প্রতি অাকর্ষণবোধ করবে, কাছাকাছি হবে এবং পরস্পরকে ভালোবাসবে। নারীদের যেমন কিছু বিশেষ বিষয় পুরুষদের দারুণ আকর্ষণ করে থাকে, ঠিক তেমনিই পুরুষদেরও এমন কিছু বিশেষ বিশেষ বিষয় রয়েছে যা একজন নারীকে তার প্রতি মুগ্ধ করে তোলে। নারীর চোখে পুরুষটির আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। মজার ব্যাপার হলো, সেই কাজগুলোর মাঝে বেশ কয়েকটিই আবার ভালো না। বলা যায় রীতিমত খারাপ! বিস্তারিত :

কেমন পুরুষদের প্রতি আকর্ষণবোধ করেন নারীরা? : সৃষ্টির শুরু থেকেই নারী পুরুষ একজন আরেকজনের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন। এটি প্রাকৃতিক নিয়মেই ঘটে থাকে। অবশ্য কিছুটা ব্যতিক্রমও চোখে পরে। কিন্তু সে যাই হোক, নারী ও পুরুষের মধ্যকার এই আকর্ষণবোধ আছে এবং থাকবে। প্রতিটি মানুষ যেমন আলাদা তেমনই আলাদা তাদের পছন্দ। একজনের কাছে যা অনেক পছন্দের অন্যের কাছে তা পছন্দ নাও হতে পারে। বিস্তারিত

নারীর চোখে একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষের ১৫ টি বৈশিষ্ট্য : একজন পুরুষের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব নারীদের তীব্র ভাবে আকর্ষণ করে থাকে। পুরুষের চেহারা কিংবা অর্থের চাইতেও নারীকে বহুগুণে বেশী আকর্ষণ করে পুরুষের ব্যক্তিত্ব। নারী মনে মনে বিশ্বাস করে যে একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ কখনোই তাঁকে আঘাত করবেন না, বাজে ব্যবহার করবেন না এবং এমন পুরুষের সাথে তিনি নিরাপদ থাকবেন। নারীর চোখে একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষের আবেদন যতখানি বেশী, তেমন আর কারোরই নেই। বিস্তারিত

পুরুষের যে ১০টি বিষয় ভালোবাসেন নারীরা : কথায় আছে, নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও বোঝে না! সেখানে পুরুষেরা বুঝে উঠবেন নারীর মন, সে একটু কঠিন বৈকি! কি করলে নারীর মন পাওয়া যাবে এটা নিয়ে যুগে যুগে অনেক গবেষণা ও তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ আর কিছুই না, পছন্দের নারীর ভালোবাসা অর্জন। নারীরা সাধাণরত আত্মনির্ভরশীল, ব্যক্তিত্ববান এবং রোমান্টিক পুরুষদের ভালোবাসেন। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক পুরুষের মধ্যে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকলে নারীর মন জয় করে নেয়া যায়। বিস্তারিত : 

Thursday, 26 January 2017

চাকুরী দাতাদের কাছ থেকে চাকুরীটা ছিনিয়ে নিতে পারবেন যদি আপনি ইংরেজীতে দক্ষ হোন৷


আমরা সকলেই অবগত আছি ব্রিটিশ শাসন আমলে বাংগালিরা যখন ইংরেজদের শাসন-শোষনে নিপড়িত হচ্ছিলাম,নিজের সম্পদ ইংরেজদের গোলায় তুলে দিচ্ছিলান, ঠিক তখনি স্যার সৈয়দ আমির আলী , রাজা রাম মোহন রায়ের মত প্রমুখ ব্যক্তিরা বাঙ্গালিদের পাশে এসে দাড়িয়েছিলো, আমাদের ইংরেজি শিক্ষায় গ্রহনের জন্য উৎসাহ দিয়েছিল, কারন কি জানেন? কারন একটাই আমরা যেন সহজেই ইংরেজ জাতির বর্গের সাথে মিশতে পারি, স্বার্থ, সুযোগ সুবিধা যেন হাসিল করতে পারি, আমাদের অধিকার যে খর্ব হওয়ার আগেই তা হস্তগত করতে পারি, ঠিক বতমার্ন প্রেক্ষাপটে চাকুরিটাও সে রকম
আপনি খেয়াল করে দেখবেন বাংলাদেশে লাখ লাখ গ্রাজুয়েট বেকার যুবক বসে আছে কিন্তু তাদের চাকরী হচ্ছে না, ভাইবা থেকে বাদ পড়ছে এর এক মাত্র কারন ইংরেজীর ভিত্তি দূর্বল৷ যখন ভাইবা দিতে যাওয়া হয় তখন যদি অনর্গল ইংরেজী বলতে পারেন তাহলেই আপনার চাকরীটা হবে, ইংরেজদের কাছ থেকে যেভাবে আমরা বাংলাকে ছিনিয়ে নিয়েছি, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়েছি ঠিক তেমনি চাকুরী দাতাদের কাছ থেকে চাকুরীটা ছিনিয়ে নিতে পারবেন যদি আপনি ইংরেজীতে দক্ষ হোন৷
আমাদের সবার ই যোগ্যতা আছে, মেধা আছে, আমরা যদি সে মেধাটাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগালে বিজয় নিশ্চিত ৷ যার ফলশ্রুতিতে আপনার পরিবার ভাল থাকবে, সবার চাহিদা পূরন করতে পারবেন, সবার মুখে হাসি ফুটবে, আপনার ভাই, আপনার মা,ভাই এমনকি আপনার শিক্ষক আপনাকে নিয়ে গর্ববোধ করবে৷
তাই হতাশাকে বিদায় জানান, নিজেকে নতুন করে তৈরী করুন, আর সেটার সময় এখনি
পরিশেষে আমি একটা কথাই বলবো Don't put off you work for Tomorow.Get Started now,

Tuesday, 24 January 2017

All Bangla Blog (বাংলা ব্লগসমুহ)

                       Bangladeshi All Blog

Saturday, 14 January 2017

ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করার বেশ কিছু সুবিধা

Engr Mustafizur Rahman Nayon
ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করার বেশ কিছু সুবিধা আবিষ্কৃত হয়েছে

১। এদের সাথে ঝগড়া করে আপনি অপার শান্তি লাভ করবেন। এরা প্রতি উত্তর দিবে না... কারণ এক কান দিয়ে লেকচার ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করতে এরা বিশেষভাবে পারদর্শী।
.
২। এরা কমপ্রোমাইজে অভ্যস্ত। কালকে দুটো ক্লাস টেস্ট? ওকে! কুইজ আছে?
ল্যাব রিপোর্ট? নো প্রবলেম।
তাই বিয়ের পর আপনি যদি বলেন,আজকে আমার মামাতো বোনের শ্বশুড়ের ভাগনের বড় ভাইয়ের প্রতিবেশির ছেলের সুন্নতে খৎনার দাওয়াত,এরা সানন্দে মেনে নিবে এবং শত ক্লান্ত হলেও আপনার সাথে বের হবে।
.
৩। এরা কখনোই আপনার রান্নার খুঁত ধরবে না। বেচারাগুলো হলে-ক্যাফেটেরিয়ায় সুস্বাদু (!) খাবার খেয়ে অভ্যস্ত। খেতে যে পাচ্ছে এই-ই ঢের...
.
৪। স্বভাবতই এরা কঠিন হিসাবের মানুষ।
কয়টা ক্লাস মিস দিলে অ্যাটেন্ডেন্স ৭০% এর উপরে থাকবে থেকে শুরু করে ,ফেইল ঠেকাতে আর কত মার্কসের প্রয়োজন,এমন জটিল জটিল হিসাবেই তারা দিন পার করে। তাই মাসিক ইনকাম যতোই
হোক,সংসার চালাতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না,হিসেবটা ঠিক থাকছেই...
.
৫। এরা কিঞ্চিৎ স্নেহের কাঙাল।
সারাজীবন স্যারদের কাছ থেকে 'অপদার্থ,মূর্খ,
কিচ্ছু পারো না...' শুনে অভ্যস্ত। তাই দু-একটি ভালোবাসার কথা শুনলেই এদের অবস্থা প্রভুভক্ত কুকুরের মতো হয়ে যায়...
৬। সর্বোপরি, ইঞ্জিনিয়াররা সর্বংসহা।
যতোই প্যারা ঢালেন,এরা নিতে পারে। ১৬০-১৭০ ক্রেডিটের নরক যন্ত্রণা সহ্য করে বলে,এরা সবই হাসিমুখে সহ্য করতে পারবে...ইভেন আপনাকেও!


Thursday, 1 September 2016

একটি শিমুল গাছ





লেখক : Babul Hossain 
 খোলা জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে প্রথমেই চোখে পড়ে বড় শিমুল গাছটা। তারপর মাঠ। মাঠের পর একটা শীর্ণ নদী পরপর তিনটি বাঁক নিয়ে চলে গেছে সোঁজা দিগন্ত বরাবর। জানালার পাশের এ শিমুল গাছটা হতে, দূরের ঐ দিগন্ত পর্যন্ত যে আকাশটুকু দেখা যায়, তাতে নানা বৈচিত্র খেলা করে। ভিন্ন-ভিন্ন মৌসুমে, ভিন্ন-ভিন্ন দৃশ্যের উপস্থাপনা সেখানে। অন্তুর কাছে আকাশটাকে মনে হয় বিশাল একটা টেলিভিশনের মত। মনে হয় যেন সেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দৃশ্যের সরাসরি সম্প্রচার চলছে। ওর চোখটা আবার ফিরে আসে শিমুল গাছটার উপর। বেশ কদিন হল, শিমুল গাছটার মগডালে একটা চিল বাসা বেঁধেছে। এতদিন হল, অথচ মাত্র একবার ও দেখেছে চিলটাকে বাসায় এসে বসতে। কিছুক্ষণ বসেই আবার চিলটা উড়ে গিয়েছিল আকাশে। সারাদিন কোথায় কোন্ দূর আকাশে চিলটা উড়ে বেড়ায় কে জানে ! এ ঘরটা অন্তুর খুব প্রিয়। ওর শোবার বিছানাটা জানালার ঠিক পাশেই। জানালা দিয়ে ও শিমুল গাছ দেখে। মাঠ দেখে। মাঠের মানুষজন দেখে। ফসলের বেড়ে ওঠা দেখে। সকালে যে গবাদি পশুগুলোকে, রাখালেরা, বিশাল চকের একেবারে শেষ প্রান্তে, দিগন্ত রেখার কাছে নদীটার ধারে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়, সেটা যেমনি দেখে, আবার সন্ধ্যার আগে-আগে মেঠো হালটে ধুলা উড়িয়ে তাদের ঘরেও ফিরতে দেখে। সূর্য ডোবার সময় একটা অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য রচিত হয় প্রতিদিন। 
সূর্যটা যখন পশ্চিম দিগন্তে হেলে পরে, তার লাল টকটকে আলো শীর্ণ নদীটার বাঁকগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। দেখে মনে হয়, বিশাল মাঠ জুড়ে যেন কোন কিশোরীর চুলে বাঁধার লাল একটা ফিতা পড়ে আছে। সন্ধ্যা হলে আকাশে একটি, দুটি করে তারা জ্বলে ওঠে। রাত যখন গাঢ় অন্ধকারে ডুবে যায় আকাশে যেন তারার মেলা জমে। তাদের মধ্যে অনেকগুলি নক্ষত্রকে অন্তু চিনতে শিখেছে। লুব্ধক তাদের মধ্যে একটি। কালপুরুষ দেখতেও ওর খুব ভাল লাগে। অন্তু মনে-মনে হাসে। আবার তাকায় শিমুল গাছটার দিকে। আবার তাকায় শিমুল গাছটার মগডালে। যেখানে চিলটা বাসা বেঁধেছে। ও ভাবে, কেউ যদি ওর এই মুহূর্তের ভাবনাটা ধরতে পারত তবে নিশ্চয়ই পাগল ভাবত ওকে। ভরদুপুরের আকাশের দিকে তাকিয়ে ও রাতের নক্ষত্রের কথা ভাবছে। এমনি আজব সব ভাবনা ওর মনে আসে। শিমুল গাছে প্রচুর গুটি বের হয়েছে। কিছুদিন পরই ওগুলো ফুটে ফুল বের হবে। পাড়ার ছেলে ছোকরার দল আসবে ফুল ছিঁড়তে। আর শিশুরা যাদের ঢিল ছোঁড়ার কিংবা লম্বা লাঠি দিয়ে ফুল ছেঁড়ার সামর্থ্য হয়নি, তারা গাছের তলে পড়ে থাকা ফুলগুলো কুড়িয়ে নিয়ে যাবে। তাতেই যে কি ভীষণ আনন্দ পায় ওরা, দেখতে বড় ভাল লাগে! বেশ ক-বছর আগে একবার এ শিমুল গাছটার মগডালে, যেখানে এখন বাসা বেঁধে থাকে একটি বা দুটি চিল, ঠিক ওখানে, দক্ষিণ পাড়ার সিতেশ মাঝির যুবতি বউটাকে জ্বিনেরা গভীর রাতে ঘর থেকে তুলে এনে বসিয়ে রেখেছিল। রাতভর গাছেই বসা ছিল বউটা। খুব ভোরে সবার আগে বন্দনার মা শিমুল গাছের ডালে তাকে বসে থাকতে দেখে। বন্দনার মায়ের অভ্যাস ছিল খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার। তারপর, সবার আগে পাড়া বেড়ানো। পাড়া বেড়াতে গিয়ে এ বাড়ির ফলটা, ও বাড়ির মূলটা আঁচলের তলে লুকিয়ে ঘরে ফেরা ছিল তার নিত্যদিনের অভ্যাস। জ্বিনে ধরার খবর সমস্ত গ্রামে ছড়াতে খুব বেশি সময় লাগেনা। চকবাজার ভেঙ্গে গেলে, যখন বেলা ওঠে গেল মাথার প্রায় উপরে, সিতেশ মাঝি পাড়ার কিছু সাহসী যুবককে ডেকে নিয়ে এল তার বউকে গাছ থেকে নামাতে। সঙ্গে করে নিয়ে এল বড় একখানা কাছি। আর তার পেছনে-পেছনে হই-হই করতে করতে একটা বড় মই নিয়ে এল পাড়ার উৎসাহী কিশোরের দল। লাল কাপড় পড়া সিতেশ মাঝির বউটা গাছের মগডালে বসে দিব্বি পা দোলাচ্ছিল। পান খাওয়া তার ঠোঁট দুটোকে দেখাচ্ছিল টকটকে লাল। আর কি হাসি! দেখে গায়ের লোম একেবারে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। আশপাশের দুচার গাঁয়ের লোক হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল অন্তুদের বাড়ি। অন্তুর বাবা গাছটা কেটেই ফেলতে চেয়েছিল। গাছটার নাকি কি দোষ আছে। কিন্তু পরে আর কাটা হয়নি। ওর বাবা আজ বেঁচে নেই। আর গাছটা, তার মগডালে আজ একটি চিল বাসা বেঁধে থাকে। 
 বাবুল হোসাইন ঢাকা,
ফেব্রুয়ারী ২০১৪

Sunday, 28 August 2016

ইন্ডিয়ার হাতির মুল্য আছে, আমাদের দেশের মানুষের মুল্য নেই!! by Arup Das




লেখক Arup Das 
 একটা জোকস বলি। ইরাক যুদ্ধের সময় বুশ আর টনি ব্লেয়ার মিলে একটা বৈঠক করছিলেন। এমন সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান। হঠাৎ তিনি পাশ কেটে বললেন- আপনারা কি নিয়ে আলোচনা করছিলেন? কথার উত্তরে বুশ বললেন ভাবছি আমরা ইরাকে টন টন বোমা ফেলে ৫ লক্ষ লোক হত্যা করবো, আর একটা সাইকেলের টিউব ফুটো করে দিবো। কফি আনান অবাক হয়ে বললেন- সাইকেলের টিউব ফুটো করার রহস্যতো বুঝলাম না!!! বুশ হাস্যকরভাবে ব্লেয়ারকে উদ্দেশ্য করে বললেন- বলেছিলাম না, সাইকেলের টিউব কেন ফুটো করব সবাই এটার রহস্য সন্ধানে  নেমে যাবে, কিন্তু কেন ৫ লক্ষ লোক হত্যা করলাম এটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবে না।
ইন্ডিয়া পানির ব্যারেজ খুলে দেয়ার সাথে সাথে সাথে একটি হাতিও নামিয়ে দিলো। মিডিয়া এখন হাতি নিয়ে ব্যস্ত, হাতি ৩ দিন পানিতে সাতার কাটছে, হাতি না খেয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছে, হাতির পেছনে ছুটছে ভারতীয়রা!
........... আর এদিকে আমার দেশের হাজার হাজার মানুষ অভুক্ত, অর্ধভুক্ত থেকে দিন কাটাচ্ছে টিনের চালে। মিডিয়ার সেদিকে কোন পাত্তাই নেই! মিডিয়াও হাতি উদ্ধারে লাইভ সম্প্রচার করে কিন্তু হাজার হাজার বন্যাপ্লাবিত মানুষের লাইভ সম্প্রচার করে না!!!     ইন্ডিয়ার হাতির মুল্য আছে, আমাদের দেশের মানুষের মুল্য নেই!!
-
বিদ্র : যাহারা এনিমেল সায়েন্টিস্ট তাহারা মনে কস্ট পেলে দু:খিত। কারণ আমার মত অবুঝ কেবল বোঝে আগে মানুষ পরে পশু।