Pages

Thursday 3 December 2020

মা

 খু্ব বেশি এখন আর বন্ধুদের সাথে কথা বলা বা দেখা হয় না, তাই মাঝে  মাঝে নিজেই খুব বিরক্ত অনুভব করি।

চাকুরী জীবনে বাস্তবতাই সবচেয়ে বেশি মুল্যায়িত্ব। তারপরও চেষ্টা করি কিছু গুরুত্বপূর্ণ  বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ  রাখার জন্য। কয়েকদিন আগে আমার এক বন্ধুর সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল আমার। সর্বশেষ বন্ধুর মা'র সম্পর্কে  জানতে চাইলাম, ভালো কোনো উত্তর পাইনি।

সবার থেকে মা আলাদা, একা একা সব কিছু করেন, মানে হলো আলাদা খাবার খায়, আলাদা বিছানায় ঘুমায়।

কেন জানতে চাইলাম......?  

সহজে উত্তর দিল বয়স হইছে তো তাই.........

বন্ধুর উত্তরটা সহজ হলেও আমার কাছে সেদিন কঠিন মনে হয়েছিল।  তারপর নিজের মাঝে একটা প্রশ্ন হলো,আসলে আমরা নিজেদের কিভাবে ভাবি, বা আমাদের ভাবনাটা কি রকম হওয়া উচিত..........

 আমরা দেখেছি,  মেয়ে বিয়ে হওয়ার পর সংসার সাজানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পরে, কিভাবে সাজাবে সংসার, কিভাবে  সুন্দর লাগবে, বাসা সাজানো,আর তার জন্য হাজারো বায়না করে অনেক জিনিস কিনে, যদিও অনেক কিছু কিনে সখের বসে, বাস্তবে  কোনো  কাজে আসে না,তারপরও কিনে, কিন্তু শেষ বয়সে কি কাজে লাগে এটাই দেখার বিষয়। তবে বাস্তবতাটা  খুব কঠিন.......

ছেলেদের বিয়ে করানোর পর নিজের অজান্তে সব কিছু অন্য জনের হয়ে যায়।

বয়সের সাথে সাথে শরীলে এসে অসুখ এসে বাসা বাধে,

তারপর আস্তে আস্তে  সংসার থেকে আলাদা, জীবনের শেষ সম্বল হয়, একটা স্টিলের গ্লাস, একটা স্টিলের  তালা, আর বিছানাটা যেন বিপদে পরা নদ্ মা  থেকে তোলে এনে দেওয়া।

জোরে কোনো কাশি বা কথা বললে সবাই বিরক্তবোধ। 

আসলে আমরা সত্যিকারে অর্থে  মায়েদের কতটুকু ভালবাসি। নিজের সন্তানদের টেবিলের  খাবারের সময় দুর থেকে ডেকে মা কে ডেকে বলি, মা তুমি কি এখন খাবে.........???

তবে খাবারে মায়ের সম্মতি থাকলে,  আবার বলি মা তুমি একটু পরে খাও। বাচ্চাগুলো তোমার সাথে খেতে চায় না, তখন মা কিছু না বলে, আবার শুয়ে থাকে, আর খাবার শেষে স্টিলের তালা কিছু ভাত বিছানাতে দিয়ে যায়, ইচ্ছে হলো খেল আর না হলে নেই। আর কয়েকদিন পরে পর গোসলের বিরক্তিকর চেষ্টা সন্তানদের। 

স্টিলের আসবাসপত্রের শব্দ আর বিছানাটা সর্বশেষ প্রাপ্তি হিসাবে ধরে নেয়।

আসলে আমরা  অনেকেই বুঝি না, কয়েকদিন পর আমরাও বাবা মা হতে চলছি........?

আমাদের শেষ ভবিষ্যৎ  কি? 

মা দিবসে মায়েদের  শুভেচ্ছা না জানিয়ে  মায়েদের একটু যত্ন করাটাই উচিত.


লেখক;

মোস্তাফিজুর রহমান  মোস্তাক

তারিখ ; ১০ মে- ২০২0

No comments:

Post a Comment