Pages

Showing posts with label পড়াশোনা. Show all posts
Showing posts with label পড়াশোনা. Show all posts

Saturday 5 May 2018

Clause নিয়ে ভাবনা , আর না আর না । Clause নিয়ে চিন্তার দিন শেষ।

Clause নিয়ে ভাবনা , আর না আর না । Clause নিয়ে চিন্তার দিন শেষ।
.
Clause & phrase identification
৩৬তমতে ১টি, ৩৭তমতে এসেছিল ২ টি, ৩৮ তমতে ১ টি। গাইডবই বা প্রচলিত নিয়মে উত্তর করতে সময় লাগে অনেক। খুব সহজে তারাতারি clause নির্ণয়ের জন্য বের করেছিলাম একটা সহজ পন্থা। ৩৭ তম ও ৩৮তম বিসিএস প্রিলির আগে পোস্ট করেছিলাম,৩৯/৪০ এ যদি কারো কাজে লাগে।
মাত্র তিনটা ধাপ ধারবাহিক ভাবে এপ্লাই করুন আর ইংরেজি clause নির্ভুলভাবে ২০-৩০ সেকেন্ডে নির্ণয় করুন।
স্টেপ১:
পরীক্ষায় আসা Underlined clause এর ভিতরে যা ইচ্ছে থাকুক,আঙ্গুল দিয়ে বন্ধ করে ফেলুন।এবার বাকি অংশ পড়ুন। মনের ভাব সম্পূর্ণ প্রকাশ হচ্ছে কি? যদি হয় অর্থাৎ underlined clause ছাড়াই বাক্য অর্থপূর্ণ হচ্ছে তখন বুঝবেন Underlined clause টি ছিল Adverb clause.
e.g.
a)"As he is ill" he cannot walk fast.
b)I shall go "where he lives"
এখানে ইনভার্টেড কমার Clause টি adverbial clause।
স্টেপ ২:
প্রদত্ত প্রশ্নটি উপরের নিয়মের মধ্য না পড়লে অর্থাৎ বাকি অংশ দিয়ে কোন অর্থপূর্ণ বাক্য যদি না হয় তাহলে Underline-কৃত Clause-এর ঠিক সামনের word টি দেখুন।যদি underlined clause এর ঠিক সামনের word টি যদি Noun হয় তবে clause টি অবশ্যই Adjective clause হবে। আর যদি verb হয় স্টেপ ৩ তে যেতে হবে।
e.g.
a)This is the place "where I was born"(adj. clause)
স্টেপ ৩:
underlined clause টির সামনের Word টি verb হলে সম্পূর্ণ clause টি বাদ দিয়ে সেখানে "IT" বসিয়ে এবার বাক্য পড়ুন।It সহ নতুন বাক্যটি অর্থপূর্ণ পেলে clause টি noun clause।(এছাড়া adjective এর পর clause থাকলে সেটিও noun clause,)আর It দ্বারাও অর্থপূর্ণ নাহলে অর্থাৎ মনের ভাব প্রকাশ না পেলে clause টি Adverb clause.
e.g.
a)I know "that he was passed".(noun clause).
b)We read "that we may learn"((noun clause)
মোদ্দাকথাঃ
Clause identification এ clause এর ভিতরের অংশ পড়তে গেলে সময় লাগবে,জটিল হবে ভুল করতে পারেন।clause এর সামনে বা পরের Word দেখুন সহজ হয়ে যাবে।
এবার বই দেখুন আর প্র্যাকটিস করুন।
Phrase আরেকদিন হবে।

Sunday 11 March 2018

বিশ্ব জনসংখ্যা আদমশুমারি

🐸বিশ্ব জনসংখ্যা প্রকল্পের আওতায় ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি অফিস ২০১৮ সালের শুরুতে বিশ্বের ১০ জনবহুল দেশের নাম প্রকাশ করে। তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৭৪৪,৯৬,৪৩,৮৫৩ জন।বিশ্বের শীর্ষ জনবহুল দেশ: 
Image result for population
🔮দেশ---------         -জনসংখ্যা (জন)
১। চীন-------           ১৩৮,৪৬,৮৮,৯৮৬
২।ভারত-----       ১২৯,৬৮,৩৪,০৪২
৩।যুক্তরাষ্ট্র --      ৩২,৯২,৫৬,৪৬৫
৪।ইন্দোনেশিয়া ---     ২৬,২৭,৮৭,৪০৩
৫।ব্রাজিল ---২০,৮৮,৪৬,৮৯২
৬।পাকিস্তান --২০,৭৮,৬২,৫১৮
৭।নাইজেরিয়া -- ১৯,৫৩,০০,৩৪৩
৮।বাংলাদেশ-- ১৫,৯৪,৫৩,০০১
৯।রাশিয়া ------ ১৪,২১,২২,৭৭৬
১০।জাপান----১২,৬১,৬৮,১৫৬ জন

Friday 1 December 2017

৫০ টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির নাম ও তার ব্যবহারঃ

☞ মিটার সেকল → দৈর্ঘ্য পরিমাপের সবচেয়ে সরল যন্ত্র
☞ ভার্নিয়ার স্কেল → দৈর্ঘ্য পরিমাপক যন্ত্র (মিলিমিটারের ভগ্নাংশ)
☞ স্লাইড ক্যালিপার্স → বস্তর দৈর্ঘ্য, চোঙ বা বেলনের উচ্চতা, ফাঁপা নলের অন্ত:ব্যাস ও বহির্ব্যাস, গোলকের ব্যাস নির্ণয় করা যায়
☞ স্প্রিং নিক্তি → সরাসরি বস্তর ওজন নির্ণায়ক
☞ তুলা যন্ত্র → খুব অল্প পরিমাণ জিনিসের ভর সুক্ষ্মভাবে নির্ণয় করার যন্ত্র
☞ জাইরোকম্পাস → জাহাজের দিক নির্ণায়ক
☞ অডিও মিটার → শব্দের তীব্রতা নির্ণায়ক
☞ অডিও ফোন → কানে দিয়ে শোনার যন্ত্র
☞ সিসমোগ্রাফ → ভূকম্পন তরঙ্গ পরিমাপক যন্ত্র
☞ রিখটার স্কেল → ভূকম্পন তীব্রতা পরিমাপের একটি গাণিতিক স্কেল। এ স্কেলে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত ভূমিকম্পের তীব্রতা ধরা হয়।১৯৩৫ সালে সি. এফ. রিখটার এটি আবিষ্কার করেন।
☞ রেইনগেজ → বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র
☞ সেক্স্রট্যান্ট → সূর্য ও অন্যান্য গ্রহের কৌণিক উন্নতি পরিমাপক যন্ত্র
☞ ক্রোনোমিটার → দ্রাঘিমা নির্ণয় / সূক্ষ্ম সময় পরিমাপক যন্ত্র
☞ অ্যাক্সিলারোমিটার → ত্বরণ পরিমাপক যন্ত্র
☞ স্প্রিডোমিটার → দ্রুতি পরিমাপক যন্ত্র
☞ ভেলাটোমিটার → বেগের পরিমাণ নিণায়ক
☞ অ্যানিমোমিটার → বাতাসের গতিবেগ ও শক্তি পরিমাপক যন্ত্র
☞ ওডোমিটার → মোটর গাড়ির গতি নির্ণায়ক
☞ ট্যাকোমিটার → উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক
☞ অলটিমিটার → উচ্চতা নির্ণায়ক
☞ ফ্যাদেমিটার → সমুদ্রের গভীরতা নির্ণায়ক
☞ ম্যানোমিটার → গ্যাসের চাপ নির্ণায়ক
☞ ব্যারোমিটার → বায়ুমন্ডলের চাপ নির্ণায়ক
☞ এনোমোমিটার → বায়ুর গতিবেগ মাপক যন্ত্র
☞ হাইগ্রোমিটার → বায়ুতে আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র
☞ হাইড্রোমিটার → তরলের আপেক্ষিক গুরত্ব বা ঘনত্ব নির্ণায়ক
☞ ল্যাক্টোমিটার → দুধের বিশুদ্ধতা নির্ণায়ক
☞ হাইড্রোফোন → পানির তলায় শব্দ নিরুপণ যন্ত্র
☞ ক্যালরিমিটার → তাপ পরিমাপক যন্ত্র
☞ থার্মোমিটার → উষ্ণতা পরিমাপক যন্ত্র
☞ থার্মোস্ট্যাট → ফ্রিজ, ইস্ত্রি, ওভেন ইত্যাদিতে সি’র তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র
☞ পাইরোমিটার → তারকাসমূহের (সূর্যের) উত্তাপ নির্ণায়ক
☞ টেনসিওমিটার → তরলের পৃষ্ঠটান পরিমাপক যন্ত্র
☞ অ্যামিটার → বিদ্যুৎ প্রবাহ মাপক যন্ত্র
☞ গ্যালভানোমিটার → সুক্ষ্ম মাপের বিদ্যুৎ প্রবাহ নির্ণায়ক যন্ত্র
☞ ওহম মিটার → পরিবাহীর রোধ নির্ণায়ক
☞ ভোল্ট মিটার → বৈদ্যুতিক বিভব বা চাপ পরিমাপক যন্ত্র
☞ ইলেক্ট্রফেরাস → বৈদ্যুতিক আবেশ দ্বারা চার্জ উৎপাদনের সরল যন্ত্র
☞ ভ্যানডিগ্রাফ → বৈদ্যুতিক আবেশ দ্বারা চার্জ উৎপাদনের আধুনিক যন্ত্র
☞ তড়িৎবীক্ষনযন্ত্র/ই্‌লেক্ট্রোস্কোপ → কোন বস’তে আধানের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি নির্ণায়ক
☞ স্ফিগমোম্যানোমিটার → মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক
☞ স্টেথোস্কোপ → হৃৎপিন্ড ও ফুসফুসের শব্দ নিরুপক যন্ত্র
☞ কার্ডিওগ্রাফ → হৃৎপিন্ডের গতি নির্ণায়ক
☞ ক্রেস্কোগ্রাফ → উদ্ভিদের গতি নির্ণায়ক
☞ ইনকিউবেটর → ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর যন্ত্র
☞ ড্রেজার → পানির নিচে মাটি কাটার যন্ত্র
☞ পাওয়ার থ্রেসার → ধান মাড়াইয়ের মেশিন

Friday 14 April 2017

BCS Cadre Choice-বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার চয়েস

BCS Cadre Choice-বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার চয়েস


অনেকগুলো মেসেজ এসেছে - ক্যাডারগুলোর সুবিধা-অসুবিধা বলে একটা তুলনামূলক লিখা দিতে। এই কাজটা আমার একেবারেই অপছন্দের। অনেককে এ নিয়ে মুখে বলেছি, কিন্তু কখনও লিখি নি। অনেকের মেসেজের জবাবে এই লেখাটি চাকরি সংক্রান্ত গ্রুপগুলোতে দিয়েছিলাম। তবুও এই একই বিষয়ে নিরন্তর মেসেজ আসতেছে। তাই অবশেষে অনিচ্ছা সত্ত্বেও এখানে দিলাম। ইনবক্সে বিসিএস পরীক্ষার্থীরা ক্যাডারগুলো সম্পর্কে যেসব বিষয় জানতে চেয়েছে, সেই কথাগুলোর জবাব দিতেই চেষ্টা করেছি এখানে।

এডমিনঃ ১ম কথা হল, ৯০% সচিব এডমিন থেকে হয়। শুধু পররাষ্ট্র সচিব ছাড়া সকল সচিবই এডমিন থেকে নিয়োগের ইতিহাস আছে। বর্তমানে কয়েকজন মাত্র সচিব অন্য ক্যাডারের। তাই যারা ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠতে চান তাঁদের জন্য এডমিনই ভাল চয়েস। প্রথমে একটি ডিসি অফিসে কাজ করতে হবে সহকারী কমিশনার হিসেবে। ২/৩ বছর সময়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা AC(Land) এর দায়িত্ব পাবেন। এরপর ইউএনও,এডিসি, ডিসি। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়েও সহকারী সচিব, উপসচিব... হিসেবে অনেকে কর্মরত থাকেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পোস্টিং হয়। তাই এডভেঞ্চার আছে, এটা এনজয় করতে পারলে ভাল লাগবে। মানুষের সাথে সরাসরি কাজ। তাই সত্যি যদি আপনার ইচ্ছা থাকে, মানুষের জন্য কাজ করবেন - সে সুযোগ এখানে আছে। জুডিশিয়াল সার্ভিস আলাদা হওয়ার পরে এডমিন ক্যাডার নিয়ে অনেক নেগেটিভ কথা শুনা গেছে। বিশেষত আমরা যখন জয়েন করি, তখনই বিষয়টা শুরু হইছিল। তাই অনেকের মাঝে হা-হুতাশ ছিল। এখন কিন্তু সেটা শুনা যায় না তেমন। তখন ভাবা হচ্ছিল মেজিস্ট্রেসি বলতে কিছুই আর এডমিন অফিসারদের থাকবে না। আসলে তো তা নয়। যে কোন দেশেই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এডমিন অফিসারদের বিকল্প নেই। একজন নন-আর্মড অফিসার অর্ডার করবে, আর আর্মড-পার্সনরা সেটা পালন করবে। এটাই যে কোন সভ্য দেশের নিয়ম। তাই এখন সরকারের প্রয়োজনে সহকারী কমিশনারগণ নিয়মিতই ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালন করেন। মোবাইল কোর্টসহ অনেক দায়িত্বই আপনি পাবেন। এরপর পদোন্নতি ভীষণ স্লো - এমন কথা এডমিনের নামে শুনা যায়। কথাটা কিছুটা সত্য। তবে আপনারা যারা এখন জয়েন করবেন, তাঁদের জন্য ভাল খবর হচ্ছে - ২০১৯ সালের দিকে অনেক বড় ব্যাচ রিটায়ার করবে। তখন প্রোমোশন দ্রুত হবে বলে মনে হয়। 

পুলিশঃ পুলিশকে সবার প্রয়োজন। তাই সরকারী চাকরি করে পরিচিতজনের কাছে কেন্দ্রবিন্দু হবার সৌভাগ্য এখন পুলিশেরই সবচেয়ে বেশী। যে যাই বলুক, আপনার মোবাইল নাম্বারটা সবার আকাঙ্ক্ষিত হবেই। আর এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করাও পুলিশ ক্যাডারদের পক্ষে সম্ভব। কাউকে সরাসরি বিপদ থেকে রক্ষা বা আইনি সহায়তা তাঁদের হাতেই। তাই যারা মানুষকে সরাসরি সাহায্য করতে চান, তাঁদের জন্য পুলিশ হওয়াই আমাদের দেশে সবচেয়ে উপযোগী। আর এই সৌভাগ্যের সাথে ঝুঁকির কথাও একটু মাথায় রাখুন। রাজনৈতিক সমস্যা থেকে শুরু করে আইনগত সকল সমস্যা পালনের জন্য ঝুঁকি নেবার সাহসটুকু থাকতে হবে। আর ফিল্ড লেভেলে কাজ করতে নেতা-কর্মীদের ম্যানেজ করে দায়িত্ব পালনের বিষয়টাও আছে। ট্রেনিং শেষে পোস্টিং হলে এএসপিকে সরকারী গাড়ি দেয়া হয় দায়িত্ব পালনের জন্য, যেটা আর মাত্র দু-একটা ক্যাডারে আছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশ অফিসারদের অনেকেই সুযোগ পায়। এতে বেশ ভাল আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়, সাথে একটু ঝুঁকি তো আছেই। আবার উপরের লেভেলে পোস্ট কম। তাই উপরে পদোন্নতি একটু স্লো, তবে আমাদের দেশে এসপিই অনেক বড় কিছু, আর তাঁর উপরেরগুলোতো আছেই। মাঝে মাঝে আপনার ব্যক্তিগত কোন দোষ না থাকলেও সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের গালি সরাসরি শুনতে হতে পারে। তবে সেটা আপনার আড়ালে, সামনে পড়লে মোবাইল নাম্বারই নিয়ে নেবে। পুলিশের এএসপিদের অধীনে কনস্টেবল থেকে শুরু করে অনেক পুলিশ সদস্য থাকে, তাই দেশের যেখানেই যাবেন, লজিস্টিক সাপোর্ট থাকবে। 

অডিটঃ অডিটে অবশ্য সব সময়ই অল্প ক’টা পোস্ট থাকে। আর যেহেতু পোস্ট অল্প, তাই পদোন্নতি দ্রুত। মোটামুটি বিভাগীয় শহরগুলিতেই পোস্টিং। অডিট হচ্ছে অন্যের ভুল, অনিয়ম এসব ধরা। তাই যে অফিসেই অডিট করবেন, বেশ সম্মানই পাবেন। 

ট্যাক্স ও কাস্টমসঃ ৩৫-তম বিসিএসের সার্কুলারে এই ২টা ক্যাডারে কোন পদ নেই। এটা আপনাদের জন্য দুর্ভাগ্যেরই বিষয়। আগে এত অফিসার নিয়ে নিয়েছে, এখন আর খালি নেই। তাই এখানে এগুলো নিয়ে কিছু বললাম না। 

ইকনমিকঃ সচিবালয়ে বা পরিকল্পনা কমিশনে অফিস। তাই ঢাকায় পোস্টিং। ইকোনোমিক ক্যাডারের অফিসারগণ প্লানিংয়ের কাজ করেন। তাই যারা রিসার্চ রিলেটেক কাজে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য এটা ভাল চয়েস। হয়তো রিসার্চমুখী বলেই ইকনমিক ক্যাডারের অফিসারদের একটা বড় অংশ বিদেশে ডেপুটেশান বা শিক্ষাছুটিতে পড়াশুনা করে। আবার অনেকদিন ধরেই ইকনমিক ক্যাডারকে এডমিনের সাথে যুক্ত করে ফেলবে বলে আলোচনা হচ্ছে। মানে এটা হলে ইকনমিক ক্যাডাররা এডমিন হয়ে যাবে। তবে এটা দীর্ঘদিন ধরেই ঝুলে আছে। তাই এখন এসব জেনে লাভ নেই। কাজ প্রোজেক্টের প্লানিং। তবে উপরের দিকে পদন্নোতির সুযোগ একটু কম। 

তথ্যঃ তথ্য ক্যাডারের অফিসারদের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজের সুযোগ আসতে পারে। মন্ত্রণালয়ে মাননীয় মন্ত্রীগণের Public Relations officer (PRO), বিদেশে কয়েকটা দূতাবাসে তথ্য কর্মকর্তা, এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির অফিসেও তথ্য কর্মকর্তা হতে পারেন। তবে এগুলো সাধারণত স্বল্পকালীন হয়। 

পররাষ্ট্রঃ এটাতে আমি চাকরি করি, তাই ঢাক পিটানো হয়ে যাবে কিনা ভাবছি। যাই হোক, ফরেনে চাকরি হলে আপনি সেগুন বাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দিবেন। শুধু বাসা থেকে অফিসে আসা আর ৫টায় অফিস থেকে বের হতে পারলে বাসায় ফেরা এ দুই সময় অফিসের মাইক্রো পাবেন। দুই বছর পূর্ণ হলে আপনি বিদেশে দূতাবাসে পোস্টিংয়ের জন্য উপযুক্ত বলে ধরা হয়। তবে পোস্টিং হতে ৩ বছরের মত লাগে। কেউ কেউ নিজেই দেরী করে বিদেশে পোস্টিং নেয়। এক্ষেত্রে আমার ব্যাচের অভিজ্ঞতা এরকম – অফিসার ১৩ জন। এর মধ্যে ২ জন যোগদানের দুই বছর পরেই পোস্টিংয়ে চলে গেছে। ৪ জন ডেপুটেশানে বিদেশে পড়ছে (১ জন যুক্তরাষ্ট্রে, ৩ জন অস্ট্রেলিয়ায়)। তিন বছরের কাছাকাছি সময়ে আরো ৪ জন পোস্টিংয়ে গেছে। বাকি ৩ জন নিজেরা পোস্টিংয়ে যায়নি, তাঁদের সুযোগ এসেছিল। বিদেশে পোস্টিং হলে ফরেন ভাতা পাবেন। যা পাওয়া যায়, তাতে বিদেশে বিলাসিতা করা যায়না, সংসার চলে। পদোন্নতির সাথে সাথে এলাউন্স বাড়বে। পোস্টিংয়ে থাকা কালে মোটা দাগে বললে বাসা ভাড়া, ২ জন ছেলেমেয়ের পড়াশুনার খরচ, পরিবারের চিকিৎসার ৯০% খরচ সরকার বহন করে। পোস্টিংয়ে থাকা অবস্থায় যে কোন দেশের ডিপ্লোমেটরা ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কিনতে পারে। তবে গাড়ি দেশে আনতে হলে ট্যাক্স দিতে হবে। অফিসার অল্প, তাই কাজের অনেক চাপ। আবার চাকরিই যেহেতু ফরেনে, তাই অনেক বিদেশে ঘুরতে পারবেন। পোস্টিংয়ের আগেও ট্রেনিং, কনফারেন্স ইত্যাদিতে বিদেশে যাবার সুযোগ আসবে অনেকের। তবে পরিবার ফেলে দীর্ঘদিন বিদেশে থাকা কষ্টকরও বটে। আবার এক দেশে পোস্টিং ৩ বছরের জন্য, এরপর অন্য দেশে ৩ বছর, পরের ৩ বছর ঢাকায়। এটা জেনারেল পোস্টিং প্যাটার্ন। তাই এই ঘন ঘন চেঞ্জ নিজের এবং ছেলেমেয়ের জন্য ঝামেলার। অন্যদিকে ফরেনে অফিসার অল্প বলে পদোন্নতির সুযোগ অন্য চাকরি থেকে ভাল। আমি নিজেই দেখেছি যে, একই বিসিএসের ফরেনের অফিসার জয়েন সেক্রেটারি আর অন্য ক্যাডারের অফিসার সিনিয়র এসিট্যান্ট সেক্রেটারি ছিল। এতদিন এটা প্রচলিত ছিল যে ফরেনে জয়েন করলে সে Ambassador হয়ই। ভবিষ্যতে কি হবে জানি না। তবে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি অফিসারই সময় হলে Ambassador হয়েছে। রাষ্ট্রদূত দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে, তাই সম্মান মনে হয় একটু পাবেন। বেশ হোমরা-চোমরা লোকজনের সাথে মাঝেই দেখা বা মিটিং সিটিং হবে। তবে দেশে রাস্তাঘাটে আপনাকে কেউ চিনবে না। 

ক’দিন আগে কয়েকজন তরুণ সাহিত্যিক কয়েকটা লেখা দিয়ে সমালোচনা করতে বলল। কিন্তু সমালোচনা করার পরে তাঁরা আমার উপর ক্ষেপে গেল। আমি নাকি সবাইরে প্রশংসা করে গেছি। আমার মন্তব্য থেকে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। কী আর করা - খারাপ বলতে মনে হয় একটু বেশি সাহস লাগে। যাই হোক, সেই বিষয়টা মাথায় রেখে, এখানে আমি একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী যেভাবে ভাবে, সেভাবেই বিভিন্ন ক্যাডারের কিছু বিষয় দিতে চেষ্টা করলাম। এগুলো শুধুই তথ্য। অন্যদের কথাও শুনুন। এরপর নিজের বিচার দিয়ে ভাবুন – কোন কাজটা আপনি করতে চান। কোনটায় আনন্দ পাবেন। সেভাবেই চয়েস দিন। জব এনজয় না করতে পারলে ক্যারিয়ারকে ভালবাসতে পারবেন না। তাই আনন্দ খুঁজে পাওয়াই হোক চয়েসের ভিত্তি। এবার দুটা প্রশ্ন, যেগুলো মেসেজে অনেকবার এসেছে - 

সার্কুলারে কোন একটা ক্যাডারে অল্প ক’টা পোস্ট আছে। তো সেটা কি চয়েসে দিব?

আমার ২৮-তম বিসিএস-এর চয়েস নির্ধারণ করতে গিয়ে দেখি অডিটে মাত্র ২/৩ পোস্ট। তো বন্ধু বলল, এটা চয়েসেই দিবে না। কোটা বাদ দিলে ১/২ পোস্ট - সেটা চয়েসে দিয়ে কী হবে? এটা একেবারেই ভুল কথা। পোস্ট বেশি থাক আর কম থাক নিজে যেই চাকরিটা আগে করতে চান সেভাবেই চয়েস দিন। আর পোস্ট পরবর্তীতে বাড়াতে বা কমাতে পারে। সাধারণত কমায় না। কখনও কখনও বাড়ায়। তাই যেসব ক্যাডারের সার্কুলার হয়েছে, সেগুলোতে আপনার পছন্দমত সিরিয়ালে চয়েস দিয়ে দিন। 

মোট কয়টা চয়েস দিব? 

আমার অভিমত হল - যেই চাকরিগুলো হলে আপনি অবশ্যই করবেন, শুধু সেগুলোই চয়েস দিন। এক্ষেত্রে ২টা ইস্যু। (১) যারা বিসিএসে যে কোন ক্যাডার হলেই চাকরি করবেন, তাঁরা সার্কুলার দেখে যেগুলোতে এপ্লাই করতে পারবেন, সবগুলো চয়েস দিয়ে দিন। (২) আর যারা মনে করেন - কয়েকটা ক্যাডার না হলে আসলেই চাকরি করবেন না, তাঁরা প্লিস অন্য ক্যাডার চয়েস দিয়েন না। চাকরি হল আর আপনি জয়েন করলেন না বা কিছুদিন পরে ছেড়ে দিলেন, সেটা সবার জন্য খারাপ। দেশের জন্যও খারাপ। 
তখন আমার ২৮-তম এর ফাইনাল রেজাল্ট ও মেডিকেল হয়ে গেছে। কিন্তু গেজেট তখনও হয়নি। সেই সময় ২৯-তম বিসিএসের ভাইভা শুরু হয়ে গেল। এখন ২৮ আর ২৯ দুটোতেই আমার ফার্স্ট চয়েস ফরেন। আমি ২৯-তমের ভাইভা দিতেই গেলাম না। ভাবলাম - একটা পোস্ট নষ্ট করব কেন। আমার পরিচিত বেশ কয়েকজনকে দেখলাম - ২৮তমে ফার্স্ট চয়েস পেয়েও আবার ২৯-এ ভাইভা দিলেন। বললেন, তখনও গেজেট হয়নি। কী হয় কিছু বলা যায় না। রিস্ক তো আছেই। যাই হোক, তাঁরা বেশি সতর্কতামূলকভাবে এটা করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে এটা দোষের নয়। আইনসিদ্ধও বটে। কিন্তু যেটা হয়েছে, অনেকেই ২বার চাকরি পেয়েছে। আর দ্বিতীয়বার জয়েন করেনি। সে পোস্টগুলো ফাঁকা গেছে। কিছু নাকি কোটা থেকে পুরণ করেছে। এতে সরকারের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও অনেক পোস্ট খালিই থেকেছে। আর কিছু যোগ্য লোক চাকরি পায়নি। হয়তো তাঁদের বয়স চলে গেছে। তাই আপনি যে চাকরিটা পেলে আসলেই করবেন, শুধু সেটাই চয়েস দিন। তবে যারা ক্যাডার চেঞ্জ করতে আবার পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁদের জন্য ঠিকই আছে।

Tuesday 14 March 2017

সূত্রের সাহায্যে বাংলা শব্দ মনে রাখার কৌশল

সুত্র দিয়ে সহজে শব্দ মনে রাখার টেকনিক

দেশি শব্দ মনে রাখার কৌশল:
এক গঞ্জের কুড়ি ডাগড় টোপরমাথায় দিয়ে চোঙ্গা হাতে পেটের জ্বালায়চুলা কুলা ডাব ও ডিংগা নিয়ে টং এর মাচায়উঠল।
শব্দ
*** গঞ্জ , কুড়ি, ডাগড়, টোপর, চোঙ্গা, চুলা, কুলা, ডাব, ডিংগা, টং ,মাচা ইত্যাদি ।

পর্তুগীজ শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
গীর্জারপাদ্রী চাবি দিয়ে গুদামের আলমারি খুলে তাতে আনারস পেঁপে পেয়ারা আলপিন ও আলকাতরা রাখলেন।কেরানি দিয়ে কামরা পরিষ্কার করে জানালা খুলে দিলেন। তারপর পেরেক ইস্ত্রি ইস্পাত ও পিস্তল বের করে বালতিতে রেখে বোমা বানালেন।
শব্দ গির্জা , চাবি , গুদাম ,আলমারি , আনারস , পেঁপে ,পেয়ারা, আলপিন , আলকাতরা, কেরানি ,কামরা, জানালা, , পেরেক , ইস্ত্রি ,ইস্পাত , পিস্তল , বালতি, টুপি , সাবান, বোতাম ,পুউরুটি , মিস্রি ,পেরেক, ইংরেজ ,নিলাম ও বেহালা ইত্যাদি । কিছু তুর্কি শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ বিবি বেগম কোর্মা খায় বাহাদুর দেশচালায়। দারোগা বাবু তাকিয়ে দেখে গালিচায়কুলির লাশ। চাকু হাতে বাবুর্চি তাইদেখে হতবাক।সুলতান মাহমুদ বন্দুকনিয়ে দৌড়ে পালায় ।
শব্দ
*** বাবা, দারোগা, কুলি, লাশ, চাকু, বাবুর্চি , সুলতান, বন্দুক , বারুদ , চাকর, মুচলেখা ।

ফারসি শব্দ মনে রাখার কৌশল
ফরিয়াদি সালিশের জন্য মুনশীর জন্য কাছে নালিশ করতে গেলে বেগম বাদশাহ, জমিদার আসামীকে জরিমানা ও খাজনা দিতে বলল। আফসোস, আলুর আমদানী রপ্তানী কম হওয়ায় বাগান থেকে বস্তা ভরে মরিচ, সবজি, পশম নিয়ে পাইকারী বিক্রেতা চশমা পরা চশমখোরের কারসাজিতে বদমাস জানোয়ার সুজমিয়ার আস্তানাতে নিয়ে গেল।

আরবি শব্দ মনে রাখার কৌশল
আরবে ইসলামে বিশ্বাসী ঈমানদার ওযু গোসল করে হাদিস কোরয়ান তসবি পড়ার পর হজ যাকাত ও কোরবানী করে হারাম হালাল ও আল্লাহর পথ মেনে চলে জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম হতে মুক্তির জন্য। উকিল মোক্তার মক্কেল, মুন্সেফ কিতাব,কানুন, দোয়াত,কলম নিয়ে মহকুমা আদালতে এজলাসে বসে রায় খারিজ করেন। ঈদের দিন আলেম এলেম, ইনসান বলে মুসাফির লেবুর ব্যবসায় লোকসানে আছি। বাকির ওজর কেচ্ছা দালালি বাদ দিয়ে নগদ দাও।
আরবি শব্দ :
ঈমানদার, ওযু, গোসল, হাদিস, কোরয়ান, তসবি, হজ, যাকাত, কোরবানী, হারাম, হালাল, আল্লাহ, জান্নাত,জাহান্নাম, উকিল, মোক্তার, মক্কেল, মুন্সেফ, কিতাব,কানুন, দোয়াত,কলম,মহকুমা, আদালত, এজলাস, রায়, ঈদ, আলেম, এলেম, ইনসান, মুসাফির, লেবু, ব্যবসা, লোকসান, বাকি, ওজর, কেচ্ছা, দালালি ও নগদ
মায়ানমার (বর্মি) শব্দ মনে রাখার টেকনিককরলেন।
বর্মিরা লুঙ্গি ফুঙ্গি পছন্দ করে।*** লুঙ্গি ,ফুঙ্গি ***
পাঞ্জাবি শব্দ মনে রাখার টেকনিক
শিখদের কাছে পাঞ্জাবির চাহিদা অনেক।

ফরাসি শব্দ মনে রাখার কৌশল
বুর্জোয়া ইংরেজ ও দিনেমাররা জাহাজে বসে ক্যাফেতে পিজা ও বিস্কুট খেতে খেতে রেস্তোরার পাশে গ্যারেজে ম্যাটিনির রেনেসা দেখবে বলল।
ওলন্দাজ শব্দ মনে রাখার কৌশল
ওলন্দাজরা ইস্কাপন , টেক্কা , তুরুপ , রুইতন , হরতন দিয়ে তাস খেলে
শব্দ
ইস্কাপন , টেক্কা , তুরুপ , রুইতন , হরতন , চিরাতন , ইস্কুল