এ্যজোলা একটি জলজ উদ্ভিদ। এটা মসকিউটো ফার্ণ, ডাক উইড ফার্ণ, ওয়াটার ফার্ণ ইত্যাদি নামে পরিচিত। উদ্ভিদ জগতের অনত্মভুক্ত এর বিভাগ হলো – টেরিডোফাইটা, শ্রেণি-টেরিডোপসিডা, বর্গ- সালভিনিয়ালিস, গোত্র- সালভিনিয়াসি, গণ-এ্যজোলা এবং এর বেশ কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। এদেশে পুকুর, ডোবা এবং বিভিন্ন জলাধারে এ্যাজোলা দেখতে পাওয়া যায়। গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে আমাদের দেশে এ্যাজোলার প্রচলন নেই বা থাকলেও উল্লেখ করার মতো নয়। তাছাড়া এ বিষয়ে আমাদের ধারনাও কম। আমদের পাশের দেশ ভারতে হাঁস-মুরগি এবং গবাদি পশুর বিকল্প খাদ্য হিসাবে এ্যাজোলার ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে এ্যাজোলার ব্যবহারঃ
----------------------------------
এ্যাজোলা ঘাসের চেয়েও ১০ গুণ পুষ্টি সমৃদ্ধ তাই ঘাসের বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে এ্যাজোলা৷ এ্যাজোলায় অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিড, ভিটামিন(ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, বেটা-কেরোটিন) গ্রোথপ্রেমোটর, খনিজ উপাদান যেমন-ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, পটপশিয়াম, ফেরাস(লৌহ), জিঙ্ক পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে। এ্যাজোলাতে ২৫-৩৫% প্রোটিন (On a dry weight basis), 10-15% খনিজ পদার্থ, ৭-১০% এমাইনো এসিড, কাবোহাইড্রেট এরং চর্বি খুব কম পরিমানে থাকে। উচ্চমাত্রার প্রোটিন এবং কম পরিমানে লিগনিন থাকার কারনে গবাদি পশু সহজেই এ্যাজোলা পরিপাক করতে পারে। প্রতিদিনের স্বাভাবিক খাবারের সাথে ২-৩ কেজি এ্যাজোলা খাওয়ানোর ফলে দুধ উৎপাদন ১৫-২০% বৃদ্ধি পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। গরুর প্রচলিত স্বাভাবিক খাবারের ১৫-২০% এ্যাজোলা খাওয়ানো যেতে পারে এর ফলে খাদ্য খরচ অনেক কমে যাবে। দুধ উৎপাদনে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। এমনকি এ্যাজোলা খাওয়ানোর ফলে গাভীর দুধ উৎপাদন ও দুধের গুণগতমান, গরুর স্বাস্থ্য ও longevity বেড়ে যায়। গো-খাদ্য হিসাবে অন্যান্য প্রচলিত খাদ্যের তুলনায় এ্যাজোলার পুষ্টিমান তুলনা করে দেখা যায় যে এ্যজোলার পুষ্টিমান ভালো। অ্যাজোলায় যেহেতু পুষ্টিগুণ বেশি, প্রথমের দিকে গরু, ছাগলকে অল্প অল্প করে অভ্যেস করানোর যেতে পারে। অভ্যাস হয়ে গেলে পরিমাণ মতো অ্যাজোলা দেওয়া যেতে পারে৷
(তথ্যঃসংগৃহীত)
No comments:
Post a Comment