Pages

Saturday, 5 August 2017

আপনার সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন কত সময় পড়াশোনা করবেন, সেটা ঠিক করে নিন।

আপনার সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন কত সময় পড়াশোনা করবেন, সেটা ঠিক করে নিন। এখানে সক্ষমতা বলতে আমি বোঝাতে চাইছি, ৮০% মানসিক সক্ষমতা আর ২০% শারীরিক সক্ষমতা। পরিশ্রম করার জন্য সবচাইতে বেশি দরকার মানসিক শক্তি। আমার নিজেরটাই বলি। আমি প্রতিদিন ১৫ ঘণ্টা পড়াশোনা করার সময় বেঁধে দিয়েছিলাম এবং যতদিন বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম, এই ১৫ ঘণ্টার নিয়মটি খুব স্ট্রিক্টলি ফলো করতাম। ১৫ ঘণ্টা মানে কিন্তু ১৪ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট ৬০ সেকেন্ড, এর কম কিছুতেই না। কখনো কখনো সময়টা এর চাইতে বেড়ে যেত, কিন্তু অসুস্থ হয়ে না পড়লে পড়ার সময়টা কোনোভাবেই কমানো যাবে না, এটাই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। এতে আমার যে লাভটি হয়েছে, সেটি হলো, শেষ মুহূর্তের বাড়তি চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পেরেছি। আমাদের মনটা একটা অদৃশ্য সময়ের ছকে চলে। তা-ই যদি না হবে, তবে ৯টা মানেই অফিসটাইম কেন? যাদের অফিস শুরু হয় ৮টা থেকে, তারা ঠিকই ১ ঘণ্টা আগেই ঘুম থেকে জাগেন। মনকে একবার নিজের সুবিধামতো রুটিনে ফেলে দিতে পারলেই হলো! স্নায়বিক চাপের ফলে অনেকেরই ভাল প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা খারাপ হয়ে যায়। অতিরিক্ত চাপ আত্মবিশ্বাসও কমিয়ে দেয়, যেটা ভীষণ আত্মঘাতী। অনেকেই হয়তো এর চাইতে কম সময় পড়ে ম্যানেজ করতে পেরেছেন। এটা নির্ভর যার যার পড়ার ধরন এবং বেসিকের উপর। আমি খুব মেধাবী কখনোই ছিলাম না বলে আমাকে বেশি সময় ধরে পড়তে হয়েছে। যতক্ষণই পড়াশোনা করুন না কেন, কোয়ান্টিটি স্টাডির চাইতে কোয়ালিটি স্টাডিই বেশি দরকার। যে সময়টাতে পড়াশোনা করছেন, নিজের ১০০%ই দিয়ে পড়াশোনা করুন। ফাঁকি দিলে নিজের ফাঁকির শাস্তি নিজেকেই ভোগ করতে হবে। সপ্তাহের শেষ দিনে ৪-৫ ঘণ্টা আগের ৬ দিনে যা যা পড়েছেন, সেগুলি খুব দ্রুততার সাথে একবার রিভিশন দিন। কোনো পড়া প্রথমবার পড়ার সময় প্রয়োজনীয় এবং কঠিন অংশগুলি অবশ্যই রঙিন কালিতে দাগিয়ে দাগিয়ে পড়বেন। এতে রিভিশন দিতে অনেক সুবিধা হয়।
Sushanto paul

No comments:

Post a Comment