সুশান্ত পাল : বিসিএস প্রস্তুতি শুরুটা
করবেন কিভাবে? আমাদের মত অলসদের
প্রধান সমস্যা কোন কাজ শুরু করা। আমরা
অনেক অনেক পরিকল্পনা করি। তারপর
ভাবি ঘুম থেকে উঠেই কাজ শুরু করব।
তারপর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টায়ার্ড হয়ে
আবার ঘুমিয়ে রেস্ট নেই।
তাই আজকের প্রধান আলোচনা
কিভাবে পড়া শুরু করবেন। প্রথমেই বলে
নেই আমি আপনাকে পড়ার টেকনিক
শেখাবো না। সেটা সম্ভবও না। সবারই
নিজস্ব টেকনিক আছে। আমি শুধু
আপনাকে কয়েকটা কাজের কথা বলবো
যেগুলো করলে আপনি বিভিন্ন
ঝামেলা থেকে বেঁচে যাবেন।
১. আপনি নিশ্চয়ই বিভিন্ন সাজেশন, বড়
ভাইয়ের হ্যান্ড নোট, বিভিন্ন কোচিং
সেন্টারের লেকচার শিট,
পেপারকাটিং এসব জোগাড় করে
ফেলেছেন? এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সবগুলোকে একটা বস্তায় ভরুন। তারপর
ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করে সেই
টাকায় আইসিক্রম খান।
২. প্রফেসর, ওরাকল, এমপিথ্রি, এস্যুরেন্স
ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকাশনীর বই একসেট
করে এবং ডাইজেস্ট, এসএসসি ও
এইচএসসির বোর্ডের বই, হুমায়ুন আজাদের
লাল নীল দীপাবলী এসব কেনা হইছে?
হয় নাই? কন কি? তাড়াতাড়ি যান। তারপর
দোকানে যেয়ে সবগুলা নাম মাথা
থেকে ঝেড়ে ফেলে দেন। মনে
রাখবেন আপনি অলস কিন্তু আঁতেল না।
তারপর বেছে বেছে প্রতি
সবাজেক্টের যেই বইটা আপনার কাছে
সহজ লাগে সেটা কিনেন। কঠিন বই
পড়ার কোন অতিরিক্ত সুবিধা নেই।
আর যদি ইতিমধ্যে সবধরনের বইয়ের
পাহাড় জমানো হয়ে যায় তাহলে
দরকারিগুলো বাছাই করেন। আর
বাকিগুলো আগের মতো বস্তায় ভরে
বিক্রি করে সেই টাকায় কটকটি খান।
মোটামোটা দুই একটা বই আলাদা
রাখেন। কেন পরে বলছি।
৩. এতক্ষণে নিশ্চই জ্ঞানীরা আপনাকে
পরামর্শ দেওয়া শুরু করছেন যে বিসিএস
এ চান্স পেতে হলে ১২-১৩ ঘন্টা
পড়াশোনা করতে হয়। কেউ কেউ নাকি
১৫ ঘন্টাও পড়ে। এইরকম পরামর্শ দিতে
আসলে আগে সরাইয়া রাখা মোটা
বইগুলা থেকে একটা তুলে তার মাথায়
বাড়ি মারেন।
কারণ সে চাপাবাজ। হয় সে কখনোই
বিসিএসে পাস করেনি আর না হয়
আপনাকে নার্ভাস করাই তার উদ্দেশ্যে।
৪. এখন কয়ঘন্টা পড়বেন? শুরুর ৫দিন কোন
পড়াশোনার দরকার নেই। ঘুম, বিনোদন,
খাওয়া দাওয়ার পর যে সময় পাবেন তা
থেকে একঘন্টা সময় বের করে বইগুলো
একটু ঘাটাঘাটি করুন। প্রতিটা পাতা
উল্টিয়ে উল্টিয়ে দেখুন। কোন কিছু
মুখস্ত করবেন না। শুধু টপিকগুলোর উপর
চোখ বুলান। ২৪ ঘন্টায় মাত্র একঘন্টা সময়
দিচ্ছেন, তাই সাবধান এই একঘন্টায়, নো
মোবাইল, নো ফেসবুক, নো টিভি, নো
আইপিএল, নো সানিলিওন, নো ফুশুর ফুশুর
উইথ গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড। এই একঘন্টা
শুধু অখন্ড মনযোগ।
৫. প্রথম পাঁচ দিনের পর দ্বিতীয় পাঁচ দিন
দুইঘন্টা করে পড়বেন। এর মাঝে প্রতি
আধা ঘন্টায় ৫ মিনিট বিরতি দিবেন।
তবে উঠবেন না। তার পরের পাঁচদিন
তিন ঘন্টা। এভাবে ২৫ দিন পর আপনি
দৈনিক ৬ ঘন্টা পড়াশোনার একটা
রুটিনে পৌঁছবেন। তারপর আর সময়
বাড়ানোর দরকার নেই। পরীক্ষার একমাস
আগ পর্যন্ত আপনি এই ৬ ঘন্টার রুটিন
চালিয়ে যাবেন। তবে এই ছয় ঘন্টা
একটানা করার দরকার নেই। দুইঘন্টা পর পর
ব্রেক নেবেন। অথবা সকালে তিনঘন্টা
ও রাতে তিনঘন্টা এভাবেও পড়তে
পারেন সেটা আপনার ইচ্ছা।
কিন্তু যেভাবেই হোক দিনে ছয় ঘন্টা
পড়তে হবে। ৬ ঘন্টার কোটা পূরণ হওয়ার
পর আপনি স্বাধীন। তারপর ফেসবুক,
ক্রিকেট, সানিলিওন, দীপিকা, শাকিব,
অপু সব চালাতে পারবেন।
সুশান্ত পাল
৩০তম বিসিএসে মেধায় প্রথম
করবেন কিভাবে? আমাদের মত অলসদের
প্রধান সমস্যা কোন কাজ শুরু করা। আমরা
অনেক অনেক পরিকল্পনা করি। তারপর
ভাবি ঘুম থেকে উঠেই কাজ শুরু করব।
তারপর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টায়ার্ড হয়ে
আবার ঘুমিয়ে রেস্ট নেই।
তাই আজকের প্রধান আলোচনা
কিভাবে পড়া শুরু করবেন। প্রথমেই বলে
নেই আমি আপনাকে পড়ার টেকনিক
শেখাবো না। সেটা সম্ভবও না। সবারই
নিজস্ব টেকনিক আছে। আমি শুধু
আপনাকে কয়েকটা কাজের কথা বলবো
যেগুলো করলে আপনি বিভিন্ন
ঝামেলা থেকে বেঁচে যাবেন।
১. আপনি নিশ্চয়ই বিভিন্ন সাজেশন, বড়
ভাইয়ের হ্যান্ড নোট, বিভিন্ন কোচিং
সেন্টারের লেকচার শিট,
পেপারকাটিং এসব জোগাড় করে
ফেলেছেন? এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সবগুলোকে একটা বস্তায় ভরুন। তারপর
ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করে সেই
টাকায় আইসিক্রম খান।
২. প্রফেসর, ওরাকল, এমপিথ্রি, এস্যুরেন্স
ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকাশনীর বই একসেট
করে এবং ডাইজেস্ট, এসএসসি ও
এইচএসসির বোর্ডের বই, হুমায়ুন আজাদের
লাল নীল দীপাবলী এসব কেনা হইছে?
হয় নাই? কন কি? তাড়াতাড়ি যান। তারপর
দোকানে যেয়ে সবগুলা নাম মাথা
থেকে ঝেড়ে ফেলে দেন। মনে
রাখবেন আপনি অলস কিন্তু আঁতেল না।
তারপর বেছে বেছে প্রতি
সবাজেক্টের যেই বইটা আপনার কাছে
সহজ লাগে সেটা কিনেন। কঠিন বই
পড়ার কোন অতিরিক্ত সুবিধা নেই।
আর যদি ইতিমধ্যে সবধরনের বইয়ের
পাহাড় জমানো হয়ে যায় তাহলে
দরকারিগুলো বাছাই করেন। আর
বাকিগুলো আগের মতো বস্তায় ভরে
বিক্রি করে সেই টাকায় কটকটি খান।
মোটামোটা দুই একটা বই আলাদা
রাখেন। কেন পরে বলছি।
৩. এতক্ষণে নিশ্চই জ্ঞানীরা আপনাকে
পরামর্শ দেওয়া শুরু করছেন যে বিসিএস
এ চান্স পেতে হলে ১২-১৩ ঘন্টা
পড়াশোনা করতে হয়। কেউ কেউ নাকি
১৫ ঘন্টাও পড়ে। এইরকম পরামর্শ দিতে
আসলে আগে সরাইয়া রাখা মোটা
বইগুলা থেকে একটা তুলে তার মাথায়
বাড়ি মারেন।
কারণ সে চাপাবাজ। হয় সে কখনোই
বিসিএসে পাস করেনি আর না হয়
আপনাকে নার্ভাস করাই তার উদ্দেশ্যে।
৪. এখন কয়ঘন্টা পড়বেন? শুরুর ৫দিন কোন
পড়াশোনার দরকার নেই। ঘুম, বিনোদন,
খাওয়া দাওয়ার পর যে সময় পাবেন তা
থেকে একঘন্টা সময় বের করে বইগুলো
একটু ঘাটাঘাটি করুন। প্রতিটা পাতা
উল্টিয়ে উল্টিয়ে দেখুন। কোন কিছু
মুখস্ত করবেন না। শুধু টপিকগুলোর উপর
চোখ বুলান। ২৪ ঘন্টায় মাত্র একঘন্টা সময়
দিচ্ছেন, তাই সাবধান এই একঘন্টায়, নো
মোবাইল, নো ফেসবুক, নো টিভি, নো
আইপিএল, নো সানিলিওন, নো ফুশুর ফুশুর
উইথ গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড। এই একঘন্টা
শুধু অখন্ড মনযোগ।
৫. প্রথম পাঁচ দিনের পর দ্বিতীয় পাঁচ দিন
দুইঘন্টা করে পড়বেন। এর মাঝে প্রতি
আধা ঘন্টায় ৫ মিনিট বিরতি দিবেন।
তবে উঠবেন না। তার পরের পাঁচদিন
তিন ঘন্টা। এভাবে ২৫ দিন পর আপনি
দৈনিক ৬ ঘন্টা পড়াশোনার একটা
রুটিনে পৌঁছবেন। তারপর আর সময়
বাড়ানোর দরকার নেই। পরীক্ষার একমাস
আগ পর্যন্ত আপনি এই ৬ ঘন্টার রুটিন
চালিয়ে যাবেন। তবে এই ছয় ঘন্টা
একটানা করার দরকার নেই। দুইঘন্টা পর পর
ব্রেক নেবেন। অথবা সকালে তিনঘন্টা
ও রাতে তিনঘন্টা এভাবেও পড়তে
পারেন সেটা আপনার ইচ্ছা।
কিন্তু যেভাবেই হোক দিনে ছয় ঘন্টা
পড়তে হবে। ৬ ঘন্টার কোটা পূরণ হওয়ার
পর আপনি স্বাধীন। তারপর ফেসবুক,
ক্রিকেট, সানিলিওন, দীপিকা, শাকিব,
অপু সব চালাতে পারবেন।
সুশান্ত পাল
৩০তম বিসিএসে মেধায় প্রথম
No comments:
Post a Comment